ব্যাটিং ব্যর্থতার সেই পুরনো গল্প, সিরিজ হারল বাংলাদেশ

আইসিসির সহযোগী সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারের দুঃস্মৃতি এখনও টাটকা বাংলাদেশের। এরই মধ্যে আরও একটা সিরিজ হেরে বসলেন লিটন দাসরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর আজ (শুক্রবার) দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ভুগে মাশুল দিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের দেয়া ২০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে বাংলাদেশ তুলতে পেরেছে মাত্র ১৪৪ রান। শেষ ব্যাটার হিসেবে শরীফুল ইসলাম নামতে না পারায় ৫৭ রানের হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খুইয়ে বসলেন লিটন-হৃদয়রা।

টি-টোয়েন্টিতে ২০০ রান তাড়া হয় হরহামেশা। কিন্তু বাংলাদেশ যে সেই শিল্প এখনও আয়ত্ত্ব করতে পারেনি, এর টাটকা উদাহরণ হয়ে রইল আজকের ম্যাচটা। অথচ বড় রান তাড়া করতে নেমে যেমন এপ্রোচের দরকার ছিল, যেভাবে রান তোলার দরকার ছিল, তার সবটাই শুরুতে পেয়েছে বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা; ১৯ বলে পাঁচ চার ও এক ছক্কায় ৩৩ রান। কিন্তু এরপর যেন মড়ক লাগল ব্যাটিং অর্ডারে।

আজও ব্যর্থ ওপেনার পারভেজ ইমন। হারিস রউফের বলে হাসান আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে থামলে ৭ রানে। চার বলের ব্যবধানে ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়ে থামতে হলো ছুটতে থাকা তানজিদকেও। লিটন-তাওহিদ হৃদয় দুজনই আউট হয়েছেন সিংগেল ডিজিটে। হৃদয়কে ফিরিয়েই শুরু আবরারের স্পিন জাদুর। আবরারের গুগলিতে পরাস্ত হয়ে হৃদয় এলবিডব্লিউ, ঠিক পরের বলে গুগলি বুঝতে না পেরে একইভাবে ফিরেছেন জাকের আলী। শামীম পাটোয়ারী তাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন সাইম আইয়ুবের হাতে। চার ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার আজ আবরার।

তার লেগ স্পিনের জাদুতে নাকানিচুবানি খেয়ে মিডল অর্ডারের চার ব্যাটা আজ ফিরেছেন মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে। যেখানে ম্যাচের মোড় ঘুরেছে পাকিস্তানের দিকে। ব্যাটারদের ব্যর্থতার দিনে ব্যতিক্রম টেইলএন্ডার তানজিম হাসান সাকিব। ৩১ বলে ছুঁয়েছেন নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ফিফটি। টেস্ট খেলুড়ে দেশের ব্যাটারদের মধ্যে নয় নম্বর বা এর নিচে নেমে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফিফটি করা প্রথম ক্রিকেটার তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হওয়ার আগে পাঁচ ছক্কা ও এক চারে ৫০ রান করেন তিনি।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে বড় রান তুলতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে চড়ে বসে পাকিস্তান। শাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিস গড়েন ১০৩ রানের জুটি। হারিস ২৫ বলে ৪১ রান করে আউট হলেও ফারহান খেলেন ৪১ বলে ৭৪ রানের ইনিংস। ছয়টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন তিনি। শেষ দিকে হাসান নওয়াজের ২৬ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ২০০ পেরোয় পাকিস্তানের সংগ্রহ। দুটি করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব।