যুক্তরাষ্ট্রের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত শরিফুল খান

বাংলাদেশে জন্ম নেওয়া শরিফুল এম খান ইতিহাস গড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীতে। তাকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে উন্নীত করা হয়েছে — যা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য একটি গৌরবময় অর্জন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, পদোন্নতির পর ২০ আগস্ট আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি। গত ১৩ জুন প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মোট ৭০ জন সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির জন্য মনোনীত করেন। এর মধ্যে ৫৫ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদে এবং ১৫ জন মেজর জেনারেল পদে মনোনয়ন পান। মনোনীতদের মধ্যে ছিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তা শরিফুল এম খান।

বর্তমানে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফুল এম খান ‘গোল্ডেন ডোম ফর আমেরিকা’-র স্টাফ ডিরেক্টর পদে দায়িত্ব পালন করছেন। এই পদে থেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বহুস্তরবিশিষ্ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনা, নীতি প্রণয়ন ও সমন্বয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এর আওতায় রয়েছে জাতীয় গবেষণাগার, শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য সরকারি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারত্বের মাধ্যমে ভবিষ্যতের উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলা।

শরিফুল খান ১৯৯৭ সালে ইউনাইটেড স্টেটস এয়ার ফোর্স একাডেমি থেকে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তার কর্মজীবনে উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে মহাকাশ নিয়ন্ত্রণ, স্যাটেলাইট অপারেশন এবং উৎক্ষেপণব্যবস্থায়। তিনি ২০০১ সালে কুয়েতের আলী আল সালেম বিমানঘাঁটিতে দায়িত্ব পালন করেন এবং ২০০৭ সালে ‘অপারেশন সাইলেন্ট সেন্ট্রি’-তে ডিপ্লয়মেন্ট কমান্ডার হিসেবে আবারও ওই ঘাঁটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।

এই অর্জন শুধুমাত্র শরিফুল খানের নয়, এটি বাংলাদেশের জন্যও একটি সম্মানজনক মাইলফলক। একজন প্রবাসী বাংলাদেশি হিসেবে তিনি প্রমাণ করেছেন যে বিশ্বমঞ্চে দক্ষতা, নিষ্ঠা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে যে কেউ উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।