১৬ বছর বয়সী ছেলের আবদার নতুন স্মার্টঁফোন কিনে দিতে হবে। কিন্তু দরিদ্র কৃষক বাবার পক্ষে এই আবদার রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। আর তাই অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় কিশোর ছেলে। ছেলের নিথর দেহ দেখে শোক সহ্য করতে পারেননি বাবাও, তাই তিনিও বেছে নেন একই পথ। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলায়।
জানা গেছে, ৩ ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছেলে উদ্গির জেলার লাতুরে একটি হোস্টেলে থাকত। সম্প্রতি মকর সংক্রান্তি উপলক্ষে সে বাড়িতে আসে। সে জানায়, লেখাপড়ার জন্য তার একটি স্মার্টফোন খুব দরকার। কিন্তু তার বাবার ব্যাংকে লোন থাকায় বাবা তা কিনে দিতে পারবেন না বলে জানান।
যেভাবে আত্মহত্যা
ছেলের মা জানান, বুধবার সন্ধ্যায়ও ছেলে এ বিষয়ে আবদার করলে বাবা না করে দেন। ফলে অভিমানে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। এরপর আর রাতে বাড়ি ফেরেনি। রাতে বাড়ি না ফেরায় বাড়ির লোকজন ভাবে হয়তো সে ফার্ম হাউজে ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু সকালেও না এলে ছেলের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। এরপর ফার্মে গিয়ে একটি গাছের সাথে ছেলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখেন বাবা। এই দৃশ্য দেখে তা সহ্য করতে পারেননি কৃষক বাবা। এরপর তিনিও সেই একই গাছের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় তারা অধিকতর তদন্ত করছে।
দেখুন – ছেলের চিকিৎসা খরচ না যোগাতে পেরে বাবার আত্মহত্যা