ক্ষোভ থেকে প্রথমে জাহাজের মাস্টারকে, ধরা পড়ার ভয়ে আরও ৬ জনকে হত্যা

চাঁদপুরের হাইমচরে জাহাজে সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার আকাশ মণ্ডল ওরফে ইরফান (২৬) ক্ষোভ থেকে জাহাজের মাস্টারকে হত্যা করেন। পরে ধরা পড়ার ভয়ে অন্যদের হত্যার পরিকল্পনা করেন। তিনি একাই এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।

আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র‍্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

আজ দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা নগরের শাকতলা এলাকায় র‍্যাব-১১-এর সিপিসি-২ কুমিল্লা কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিং হয়। সেখানে এ সব তথ্য জানান র‍্যাব-১১-এর উপ–অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।

র‍্যাব জানায়, গত ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ চাঁদপুরে হাইমচরের মাঝের চর এলাকায় এমভি-আল বাখেরা জাহাজে ০৭ জন হত্যা ও ০১ জন গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনা ঘটে । র‍্যাব জানায় , গ্রেপ্তারকৃত আকাশ জানায় ৮ মাস যাবত এমভি-আল বাখেরা জাহাজে চাকুরি করে আসছিল। তবে যথাসময়ে ছুটি ও বেতন-বোনাস সময় মতো না পাওয়ায় এবং বিভিন্ন ধরনের বিল কর্মচারীদের না দিয়ে জাহাজের মাস্টার একাই ভোগ করতো বলে গ্রেপ্তারকৃত আকাশ জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তারকৃত আসামী আকাশ জাহাজের সবাইকে প্রতিবাদ করতে বললে কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করতো না। মাস্টারের এহেন কার্যকলাপের দরুন গ্রেপ্তারকৃত আকাশের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং এই ক্ষোভ থেকে তাকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ গ্রেপ্তারকৃত আকাশ ০৩ পাতা ঘুমের ঔষধ ক্রয় করে নিজের কাছে রেখে দেয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনায় সে একাই জড়িত বলে জানা যায়।

গ্রেপ্তারের সময় আকাশের কাছ থেকে একটি হ্যান্ড গ্লাভস, একটি ব্যাগ, ঘুমের ওষুধের খালি পাতা, নিহত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত পাঁচটি ও আকাশের ব্যবহৃত দুটিসহ মোট সাতটি মুঠোফোন এবং বিভিন্ন জায়গায় রক্ত মাখানো নীল রঙের একটি জিনস প্যান্ট উদ্ধার করা হয়। ঘটনার সময় ওই জিনস প্যান্ট পরেছিলেন তিনি।

গ্রেপ্তার এড়াতে বাগেরহাটে চিতলমারি এলাকায় আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে আত্মগোপনে থাকাবস্থায় র্যাব কর্তৃক গ্রেপ্তার হয়। গ্রেপ্তারকৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

কাজাখস্তানের বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ থেকে জীবিত উদ্ধার ২৫

নিউজটি শেয়ার করুন