চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাহাজে ৭ জনের হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে জাহাজ মালিকের পক্ষে ঢাকার দোহার এলাকার মো. মাহবুব মোরশেদ বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ৮ থেকে ১০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাইমচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন সুমন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতে ৩৯৬/৩৯৭ ধারায় মামলাটি করেন জাহাজের মালিক মাহাবুব মুর্শেদ। চাঁদপুর সদরের হরিণাঘাট নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নিহত সাতজনের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় জানা গিয়েছে। তারা হলেন- জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জিনচালক সালাউদ্দিন, সুকানি আমিনুল মুন্সি, গ্রিজার আজিজুল ও মাজেদুল এবং লস্কর সবুজ শেখ। এ ছাড়া আহত হয়েছেন সুকানী মো. জুয়েল।
মামলার বাদী মাহবুব মুর্শেদ মামলার এজহারে উল্লেখ করেন, জুয়েলের গলাকাটা থাকায় সে কথা বলতে পারেনি। ঘটনার বিবরণ দিতে পারেনি। সে সুস্থ হলে ডাকাতদল দেখলে চিনবে বলে ইশারায় জানায়। তবে জুয়েলের সাথে ইরফান নামে আরেকজন ছিল। তবে তার ঠিকানা তিনি দিতে পারেনি।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর পুলিশ ওই জাহাজ থেকে একটি রক্তাক্ত চাইনিজ কুঠার, একটি ফোল্ডিং চাকু, দুটি স্মার্টফোন, দুটি বাটন ফোন, একটি মানিব্যাগ, নগদ ৮ হাজার টাকা, একটি বাংলা খাতা, একটি সীল, একটি হেডফোন জব্দ করা হয়।
প্রসঙ্গত, চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাটের পশ্চিমে মেঘনা নদীর পাড়ে মাঝিরচর এলাকায় থেমে থাকা একটি জাহাজ থেকে গত সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টায় পাঁচজনের মরদেহ এবং তিনজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ। পরে হাসপাতালে ২ জন মারা যান।