যেসব পণ্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে আবারও এলো জাহাজ

পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী কনটেইনার নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছেছে আরও একটি জাহাজ। নির্ধারিত সময়ের একদিন পর শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ নামের কনটেইনারবাহী জাহাজটি বন্দরে পৌঁছায়।এই জাহাজে করে পাকিস্তান থেকে কী পণ্য এসেছে তা নিয়ে আছে জল্পনা-কল্পনা ও আলোচনা। সংশ্লিষ্টদের তথ্যমতে, জাহাজটিতে করে এবার পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে এসেছে পরিশোধিত চিনি ও খনিজ পদার্থ ডলোমাইট।

পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয়েছিল গত নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে। প্রথমবার ৩৭০ একক কনটেইনার আনা হয় জাহাজটিতে করে। এরমধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ একক কনটেইনার, বাকিগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। এবার আমিরাত ও পাকিস্তান থেকে আনা হয়েছে ৮১১ একক কনটেইনার পণ্য, যার মধ্যে ৮৬ শতাংশই পাকিস্তান থেকে এসেছে।পাকিস্তান থেকে আসা ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান রিজেনসি লাইনস লিমিটেড। কর্ণফুলী লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা গণমাধ্যমকে জানান, সরাসরি জাহাজসেবায় রফতানিমুখী শিল্পপ্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত কাঁচামাল হাতে পাচ্ছে। এ কারণে এই সেবায় কনটেইনার পরিবহনের হার বাড়ছে।

পাকিস্তান থেকে যেসব পণ্য এসেছে

পাকিস্তান থেকে এবার সবচেয়ে বেশি এসেছে পরিশোধিত চিনি। মোট ২৮৫ কনটেইনারে ১ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ ব্যাগ চিনি আনা হয়েছে। চিনির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৭ হাজার টন। এই চিনি এনেছে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত শিল্পগ্রুপ প্রাণ–আরএফএল, শেহজাদ ফুড প্রোডাক্টস, সেভয় আইসক্রিম কারখানা ও ব্রডওয়ে ইন্টারন্যাশনাল।চিনির পর পাকিস্তান থেকে সবচেয়ে বেশি আনা হয়েছে ডলোমাইট। ডলোমাইট আমদানি হয়েছে ১৭১ কনটেইনারে। কাচশিল্পে ব্যবহারের জন্য এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাস ও আকিজ গ্লাস ইন্ডাস্ট্রিজ।

পাকিস্তান থেকে আমদানি হওয়া আরেকটি পণ্য হলো সোডা অ্যাশ। এই পণ্য আমদানি হয়েছে ১৩৮ কনটেইনারে। শিল্পে ব্যবহারের এই কাঁচামাল এনেছে নাসির ফ্লোট গ্লাসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।এছাড়া শতভাগ রফতানিমুখী পোশাক কারখানাগুলো এনেছে কাপড়ের রোল। মোট ৪৬টি কনটেইনারে রয়েছে কাপড়ের রোল। আলু আমদানি হয়েছে ১৮ একক কনটেইনারে। এছাড়া জয়পুরহাটের পিঅ্যান্ডপি ট্রেডিং ২০ কনটেইনারে আখের গুড় এনেছে। এসব পণ্যের পাশাপাশি পুরানো লোহার টুকরা, রেজিন, থ্রি–পিস ইত্যাদি পণ্য আমদানি হয়েছে।

আরব আমিরাত থেকে আসা পণ্য

পাকিস্তান ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়েছে পণ্য। আমিরাত থেকে আনা হয়েছে খাদ্যপণ্য, খেজুর, লুব অয়েল, যন্ত্রাংশ ইত্যাদি। পাকিস্তানের পাশাপাশি আমিরাত থেকেও ১০ কনটেইনার চিনি আমদানি হয়েছে।