মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) ক্লাব এবং ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট-এর যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক অনুপ্রেরণামূলক প্রযুক্তি সেমিনার—“Future in Code: AI & Machine Learning with Python”। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সেমিনারে প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো মিলনায়তন।
সেমিনারটির মূল উদ্দেশ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) এবং পাইথন প্রোগ্রামিং-এর ব্যবহারিক দিকগুলো সম্পর্কে বাস্তবমুখী ধারণা দেওয়া এবং প্রযুক্তি খাতে ক্যারিয়ার গঠনে দিকনির্দেশনা প্রদান। আয়োজনটি একাডেমিক ও শিল্প জগতের মাঝে একটি কার্যকর সংযোগ গড়ে তোলে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং, সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (SEST)-এর ডিন এবং সিএসই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট-এর উত্তরা শাখার ব্যবস্থাপক মো. শাহিদুল আনোয়ার পিয়াস এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রশিক্ষক মো. সজীব সাহা।
এছাড়া আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ—প্রফেসর ড. রমিত আজাদ (সিএসই), অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. রেজাউল করিম (ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান), অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর মো. রফিকুল ইসলাম, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর মো. জহুরুল হক, এবং প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর শ্রেষ্ঠা সায়ন্তিকা মৈত্র।
দুই পর্বে বিভক্ত সেমিনারের প্রথম ভাগে আলোচনা হয় এআই ও মেশিন লার্নিং-এর মৌলিক ধারণা, বাস্তব জীবনে এর প্রয়োগ, এবং প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে। শিক্ষার্থীরা এই পর্বে সরাসরি শিল্পখাতের অভিজ্ঞদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ পায়। বক্তারা ব্যক্তিগত দক্ষতা বিকাশ, ক্যারিয়ার পরিকল্পনা এবং বর্তমান প্রযুক্তির চাহিদা সম্পর্কেও শিক্ষার্থীদের মাঝে দিকনির্দেশনা দেন।
সেমিনারের দ্বিতীয় পর্ব, অর্থাৎ ব্যবহারিক অংশটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ জুন ২০২৫ তারিখে ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট-এর উত্তরা শাখায়। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা হাতে-কলমে এআই ও পাইথন প্রজেক্টে কাজ করার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা পরখ করতে পারবে।
এই আয়োজনকে শুধু একটি সেমিনার বললে কমই বলা হবে—এটি ছিল একটি অনুপ্রেরণার উৎস, যেখানে প্রযুক্তি, জ্ঞান ও ভবিষ্যতের সম্ভাবনা মিলেমিশে এক অনন্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আয়োজকরা আশা করছেন, ভবিষ্যতেও এমন আয়োজন নিয়মিত হলে শিক্ষার্থীরা একাডেমিক জ্ঞানের পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রের বাস্তব চাহিদা অনুযায়ী নিজেদের গড়ে তুলতে পারবে।