রাজনীতি হল একটি রাষ্ট্রের মূল নীতি নির্ধারক পন্থা।
রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক চাকা কোন দিকে ঘুরবে , রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে , সমাজব্যবস্থা কেমন হবে , আইন বিভাগের অবকাঠামো কেমন হবে এসব কিছুই নির্ভর করে রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থার উপর।
অর্থাৎ একটা দেশের শুরু থেকে শেষ , ছোট থেকে বড় , A টু Z কেমন হবে সেটা ডিপেন্ড করে ঐ দেশের রাজনৈতিক অবস্থান ও রাজনীতিবিদদের উপর।
রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা যদি ভালো হয় আর রাজনীতিবিদরাও যদি সৎ হয় তাহলে একটা রাষ্ট্র সোনার রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে।
যেমনটা হয়েছিল আজ থেকে দেড় হাজার বছর পূর্বে আমাদের নেতা প্রিয় নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর হাত ধরে মদিনার রাষ্ট্র। বর্বরতা ও অসভ্যতার শীর্ষে থাকা এক জনপদকে তিনি সোনার জনপদে (রাষ্ট্রে) পরিণত করেছিলেন।
এ পৃথিবীতে যারা ছিল , বর্তমানে যারা আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত যারা আসবে সবার জন্য সে রাষ্ট্র আদর্শের মুহূর্ত প্রতীক হয়ে থাকবে ।
আর কোন রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা যদি অসচ্ছ হয় এবং রাজনীতিবিদরা যদি অসৎ হয় তাহলে সে রাষ্ট্রের পরিণতি হবে বাংলাদেশের মতো।
যে বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরেও তার সহস্রাধিক জনগণের তিন বেলা আহার নিশ্চিত করতে পারেনি , তার জনগণের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি , পারেনি অসংখ্য মানুষকে তার বাসস্থান দিতে ।
স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দি পার হয়ে যাওয়ার পরেও আমার সম্মানিতা নারী জাতির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সে বারবার ব্যর্থ হয়েছে।
এজন্য আমার সোনার বাংলায় প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিতা হচ্ছেন আমাদের সম্মানিতা মায়েরা-বোনেরা , রেল স্টেশনে বিপন্ন মানবতা কাঁদছে , কুকুরের সাথে ভাগাভাগি করছে নিজের আহার ও বাসস্থান। স্বাধীনতার অর্থ শতাব্দী পার হল ! কিন্তু আমার সোনার বাংলার একি করুন অবস্থা?!
অবশ্য আমার প্রিয় বাংলার কোন দোষ নাই । বাংলার এই করুন কাহিনীর মূল হোতা এদেশের তথাকথিত রাজনীতিবিদ সেকুলাররা। এই প্রতারক সেকুলাররা প্রতিবার নির্বাচনের আগে ধর্মের দোহাই দিয়ে জনগণের হাত পা ধরে ক্ষমতায় আসে ক্ষমতায় এসেই ধর্ম ধ্বংসের অবলীলায় মেতে ওঠে এবং রাষ্ট্র ও আমার গরিব জনগণের টাকা সমানে নিজের পকেটে ঢুকায় আর বিদেশে পাচার করে।
গত ১৬ বছরে এক শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠরাই পাচার করেছে “২ লাখ কোটি টাকা” !!
স্বাধীনতার পর থেকেই এই দুষ্ট লোকেরা বাংলায় এভাবে অপরাধনীতি করে আসছে যার ফলাফল আজকের এই অনুন্নত বাংলাদেশ।
সার্বিক বিষয়ে অ্যনালাইসিস করার পর এ কথা বলা সিদ্ধ হবে যে , একটা দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্টের নাম হলো রাজনীতি। কিন্তু আমরা দেখছি , সেকু্লারদের নোংরা রাজনীতির ফলে তরুন প্রজন্মের কাছে রাজনীতি হয়ে উঠেছে এক বিভীষিকার নাম।
তাই ভদ্র ফ্যামিলির লোকেরা রাজনীতিতে আসতে অনিচ্ছুক ।
কারণ এই মাঠ দখল করে আছে নিম্ন শ্রেণীর কিছু লোকেরা । সমাজের ভালো মানুষেরা যখন নিজের ক্যারিয়ার ও সামাজিকতা নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সে সময়ে সেকুলাররা রাজনীতিকে নিজের ক্যারিয়ার ও ইনকামের একমাত্র মাধ্যম বানিয়ে দেশ লুটপাট করছে ১৮০ মাইল গতিতে । রাষ্ট্রের সৎ ,দক্ষ , ভদ্র ও মেধাবীরা যতদিন পর্যন্ত রাজনীতির ময়দানে না আসবে ততদিন পর্যন্ত এই রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও আমুল পরিবর্তন সম্ভব হবে না । যারা রাজনীতিকে নিজের ইনকামের সোর্স নয় বরং রাষ্ট্র ও মানবতার কল্যাণের সোর্স বানাবে। এমন লোকদেরকেই রাজনীতিতে আসা দরকার।
ইতিহাস ঘাটলে একথা দিবালকের মত স্পষ্ট হয় যে, বাংলাদেশের রাজনীতিকে নোংরা করেছে সেকুলার- জাতীয়তাবাদী আর ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা ।
এসব লোকেরা এখন আবার ইসলামী রাজনীতির বিরুদ্ধে ব্যাপক সোচ্চার। কারণ তারা ভালো করে জানে এ দেশের ৯০% মানুষ মুসলিম ও ধর্মপ্রিয় ।এখন এই মানুষগুলো যদি ইসলামী রাজনীতি শুরু করে দেয় তাহলে এটা হবে সেগুলোর জন্য গরম ভাতে পানি দেওয়ার মতো অবস্থা।
তাই তারা কোনো অবস্থাতেই এদেশের মুসলিমদেরকে ইসলামী রাজনীতি বুঝতে ও করতে দিতে চায় না।
যেমন কিছুদিন আগে তাদের এক নেতা বলল , “কোরআনের সাথে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নাই”!! আমরা বলি তিনি ঠিক কথাই বলেছেন ! কারণ তারা যে রাজনীতি করে কোরআনের সাথে তাদের ঐ রাজনীতির কোন সম্পর্ক নাই।
আর আমরা যে রাজনীতি করি কোরআনের সাথে এটার রয়েছে সুগভীর ও সুদূরপ্রসারী সম্পর্ক।
মূলত আমরা কুরআনের রাজনীতিই করি।
“তাদের রাজনীতি ও আমাদের রাজনীতির মৌলিক কিছু পার্থক্য নিম্নে তুলে ধরা হলো”
- ” তারা রাজনীতি করে জাস্ট নিজ দলীয় একটা সরকার গঠন করার জন্য” কারণ নিজ দলীয় সরকারের গঠন করতে পারলে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা যায় , বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি , দুর্নীতি ও মাস্তানি করা যায় , অপরাধ করে অবাধে চলাফেরা করা যায়। মানব কল্যাণে রাজনীতি করে এমন সংখ্যাটা তাদের মধ্যে খুবই কম। যা বিগত ৫৪ বছরের বাংলার রাজনীতির দিকে তাকালে আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
- “আমরা রাজনীতি করি একটি ইসলামী আদর্শ কল্যাণময় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য”
যে রাষ্ট্রে থাকবে না কোনো বৈষম্য , থাকবে না কোনো হানাহানি , মারামারি ও চাঁদাবাজি । মানুষ হিসেবে সবাই পাবে তার নিজস্ব অধিকার। সমাজের সর্বত্র বিরাজ করবে কল্যাণকর পরিস্থিতি। কারণ আমরা জানি আল্লাহ মূলত মানুষের কল্যাণের জন্যই আমাদেরকে প্রেরণ করেছেন তিনি বলেন –
كُنۡتُمۡ خَیۡرَ اُمَّۃٍ اُخۡرِجَتۡ لِلنَّاسِ تَاۡمُرُوۡنَ بِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ تَنۡهَوۡنَ عَنِ الۡمُنۡكَرِ
তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি! তোমাদেরকে প্রেরণ করা হয়েছে (মানুষের) কল্যাণের জন্য অতএব তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে ও অসৎ কাজের নিষেধ করবে ।
(সূরা আল ইমরান আয়াত ১১০)
আয়াতাংশে সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করার কথা বলা হয়েছে। আমরা এ কথাও জানি ক্ষমতা ছাড়া আদেশ ও নিষেধ করা যায় না। অতএব বলা যায় আয়াতাংশ বাস্তবায়ন করতেই আমরা রাজনীতি করি।
- “তারা রাজনীতি করে নিজেরদের আদর্শ পুরা দেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য” মুসলিমদের একমাত্র আদর্শ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য , এ দেশের সেক্যুলাররা নিজেদেরকে মুসলিম দাবি করার পরও ভিন্ন ভিন্ন আদর্শে তারা বিশ্বাসী। এজন্য আমরা দেখি যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তখন সে দল তার নিজস্ব আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য উঠে পড়ে লাগে । যেমন আওয়ামী লীগ !তাদের আদর্শ শেখ মুজিব ।শেখ মুজিবকে তারা এক ধরনের অঘোষিত প্রভু মানতো।
এজন্য গত ১৬ বছরে দেশের বিভিন্ন জায়গায় তারা শেখ মুজিবের ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য তৈরি করেছে ।
যাতে খরচ হয়েছে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার বেশি। এক্ষেত্রে ইসলামী দল ছাড়া অন্যান্য দলগুলোর অবস্থা অভিন্ন। - “আমরা রাজনীতি করি মুহাম্মদ রসূলুল্লাহর সাঃ আদর্শ বাস্তবায়ন করে খিলাফায়ে রাশেদার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে”
মোহাম্মদ সাঃ ছাড়া আমাদের আর কোন আদর্শ নাই। রাষ্ট্রের ব্যাপারে আল্লাহ আমাদেরকে যা বলেছেন ও মুহাম্মদ সাঃ যা দেখিয়েছেন আমরা তাই করি এবং করব। যেমন ইসলামী রাষ্ট্রের প্রাথমিক অবকাঠামো বর্ণনা করতে গিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন –
اَلَّذِیۡنَ اِن مَّكَّنّٰهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ اَقَامُوا الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَوُا الزَّكٰوۃَ وَ اَمَرُوۡابِالۡمَعۡرُوۡفِ وَ نَهَوۡا عَنِ الۡمُنۡكَرِ ؕ وَ لِلّٰهِ عَاقِبَۃُ الۡاُمُوۡر
(মুমিনদের অবস্থা হল )আমি যদি তাদেরকে পৃথিবীতে কর্তৃত্ব দেই তাহলে তারা নামাজ কায়েম করবে , যাকাত দেবে , সৎ কাজের আদেশ করবে এবং অসৎ কাজে নিষেধ করবে ।আর সমস্ত বিষয়ের পরিণাম আল্লাহর হাতেই। (সূরা হজ্জ , আয়াত : ৪১)
আমরা ক্ষমতায় গেলে ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের দল ভারি করবো না বরংচ ক্ষমতায় যাওয়ার পর আমাদের প্রথম কাজই হবে আল্লাহর এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা এবং পর্যায়ক্রমে বাকিগুলো।
- “তারা রাজনীতি করে পদ পাওয়ার আশায়
তাই নিজের জন্য নিজেই পদপ্রার্থী হয়”
নিজে পদপ্রার্থী হয়ে নিজের নাম ছবি ব্যবহার করে নিজের পোস্টার-ব্যানার নিজেই প্রচার করে কিংবা নিজের লোক দিয়ে প্রচারণা চালায় ।
আর এ সমস্ত ছবি যুক্ত রাজনৈতিক ব্যানার পোস্টার দিয়ে তারা দেশের ৭০ ভাগ সৌন্দর্য এমনি নষ্ট করে ফেলে। আমার বুঝে আসেনা যারা নিজেরাই অপরিচ্ছন্ন অগুছালো তারা দেশকে সুন্দর করবে কিভাবে?! এভাবে তারা নিজে পদপ্রার্থী হয়ে নিজের প্রচারণা নিজেই চালাচ্ছে । যা ইসলামে সুস্পষ্ট নিষিদ্ধ ।আল্লাহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন-
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلْ الإِمَارَةَ فَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا
আবদুর রহমান ইব্নু সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বলেছেনঃ হে ‘আবদুর রহমান ইব্নু সামুরাহ! নেতৃত্ব চেয়ে নিও না। কেননা, যদি চাওয়ার পর তোমাকে তা দেয়া হয়, তাহলে তার সকল দায়িত্বভার তোমার উপরই অর্পিত হবে। আর যদি না চাওয়া সত্ত্বেও তোমাকে তা দেয়া হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে (আল্লাহ্র পক্ষ থেকে) সহযোগিতা করা হবে।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৪৭)
তিনি আরো বলেন –
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَرَجُلاَنِ مِنْ قَوْمِي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ أَمِّرْنَا يَا رَسُولَ اللهِ وَقَالَ الْآخَرُ مِثْلَهُ فَقَالَ إِنَّا لاَ نُوَلِّي هَذَا مَنْ سَأَلَهُ وَلاَ مَنْ حَرَصَ عَلَيْهِ.
আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন যে, আমি ও আমার কওমের দু’ব্যক্তি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট আসলাম। সে দু’জনের একজন বলল, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাকে (কোনো বিষয়ে ) আমীর নিযুক্ত করুন। অন্যজনও ঐরূপ কথা বলল। নবী সাঃ বললেনঃ যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদেরকে এ পদে নিয়োগ করি না।
(সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৭১৪৯)
- “আমরা নিজে নেতা হওয়ার জন্য রাজনীতি করিনা বরং সমাজের সৎ যোগ্য নেতা নির্বাচনের জন্য রাজনীতি করি”
এখন যুগ্য ব্যক্তি যে কেউ আমাদের নেতৃত্বে আসতে পারে। রাজনীতি এবং দল উভয় জায়গাতেই আমাদের সিস্টেম অভিন্ন।
আমাদের মধ্যে কেউ পদপ্রার্থী হতে পারেনা , এখানে কালো টাকার কোন কারসাজি চলে না , বরং অধীনস্থরা যাকে নির্বাচন করবে সেই হবে নেতা এজন্য পদ নিয়ে মারামারি হয়েছে এমন ইতিহাস আমাদের সৃষ্টির পর থেকে নিয়ে এখন পর্যন্ত একবারও নাই আলহামদুলিল্লাহ।
বরংচ এদেশের আধ্যাত্মিক নেতা অধ্যাপক গোলাম আযম নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দলের সর্বোচ্চ পদ ছেড়ে সাধারণ জীবন যাপন করেছেন এমন ইতিহাসও আছে।
- “তারা করে ত্রাসের রাজনীতি”
ভিন্ন মতকে দমন পীড়নের রাজনীতি দেখে আসছে ৫৪ বছরের বাংলাদেশ। জামায়াত-শিবিরের সাথে শুধু আদর্শের অমিল থাকার কারণে তাদেরকে লাখ লাখ মামলায় জর্জরিত করেছে আওয়ামী লীগ।
অসংখ্য হুমকি ধামকি দিয়েছে , অনেকের বাড়ি ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে , কাউকে কাউকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে। আবার আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে তখন সেক্যুলারদের আরেকটি দল আওয়ামী লীগের সাথে একই আচরণ করেছে।
এর মানে হলো সেক্যুলার সব দলের চরিত্র এক ও অভিন্ন।
- “আমরা কখনো ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই”
আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করি। মতের অমিল হলেই দমন পীড়ন করা এরকম ইতিহাস আমাদের নাই।
এর বাস্তব উদাহরণ হল আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের বাড়িঘর কিংবা রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে আমরা হামলা করেছি এরকম প্রমাণ কেউ দিতে পারবে না।
তাদের মধ্যে যারা পূর্বে বড় কোন অপরাধ করেনি তাদের ব্যাপার আমরা নিরব কিন্তু যারা সীমালংঘনকারী ছিল তাদেরকে আমরা আইনের হাতে সোপর্দ করেছি কারণ আমরা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী সম্প্রদায় নই।
মৌলিক কিছু পার্থক্য এখানে তুলে ধরা হলো , লেখা বেশি বড় হয়ে যাবে তাই এখানেই সমাপ্ত করছি।
পরিশেষে আহ্বান রাখতে চাই , আমার প্রিয় ভাই ও বোনেরা ! অর্ধ শতাব্দী ধরে তো সেকুলারদের রাজনীতি দেখলেনই । তারা রাজনীতিকে ইনকামের পথ বানিয়েছে , দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে ,অসংখ্য নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে ,নারীদের ইজ্জত লুন্ঠন করেছে , পুরা দেশকে লুটেপুটে একদম শূন্য করে ফেলেছে। অতএব থামুন আর না !
ওরা তো আপনাদেরকে আপনাদের মূল “”ইসলাম”” থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে। ওরা আপনাদেরকে মুহাম্মদ সাঃ এর রাজনীতির বিপরীত রাজনীতি শেখাচ্ছে। আর রাজনীতি থেকে মুহাম্মদ সাঃ কে মাইনাস করে কেয়ামতের ময়দানে তাঁর সামনে কোন চেহারা নিয়ে দাঁড়াবেন?!
অতএব এখনই সময় জাগ্রত হওয়ার।
এখনই সময় সেক্যুলারদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইসলামের রাজনীতি শুরু করার।
সুতরাং
“সেকুলার রাজনীতি নিপাত যাক
ইসলামী রাজনীতি জিন্দাবাদ”!
শরিফুর রহমান আবিদ
শিক্ষার্থীঃ তা’মিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী।