যত গতি তত ক্ষতি

বাইক টা দিছে আব্বাজান
আম্মাই দিছে তেল
তাই তো আমার গতির সাথে
জেট বিমান ও ফেল।

দুর্ঘটনা ঘটলে ঘটুক
আমার কিসের ভয়
গেলে যাবে বাপ-মায়ের
আমার কিছু নয়।

চলরে আমার মোটরগাড়ি
জোরসে মারো টান
কে কি বলে শুনব না আজ
ধরছি চেপে কান।

আহা হা হা কি মনোরম
গাঁয়ের বাঁকা রাস্তা
ছয় শ কিলো ঘুরে এসে
করব রে আজ নাস্তা।

এমন গতি তুলবরে আজ
আমার গতি দেখে।
থমকে যাবে পথের পথিক
পথ চলা রেখে।

গতির চোটে কাঁপছে মানুষ
উড়ছে পথের ধুলো
লাফিয়ে উঠছে পথের ধারের
বান্ধা ছাগল গুলো।

গতি আর ও বাড়িয়ে দিলাম
পথটা পেয়ে সরু
হঠাৎ দেখি সামনে আমার
বিশাল বড় গরু।

ধাক্কা লেগে হুন্ডা আমার
পড়ল গিয়ে খাদে
আমার তখন হুঁশ ছিল না
ফিরছে দুদিন বাদে।

দু দিন বাদে জ্ঞান ফিরলে
চেয়ে দেখি ভাই
আমার যে দুই পা ছিল তার
একটা সাথে নাই।

সকল কিছু শোনার পরে
চমকে গেল গা
বাইকটা না কি ঠিকই আছে
আমার গেছে পা।

আমার শখের বাইকে এখন
অন্য মানুষ চড়ে
পা হারিয়ে কান্দি আমি
বন্দি হয়ে ঘরে।

ঘরে বসে ভাবি যদি
পা টা পেতাম ফিরে
তিড়িং বিড়িং ছেড়ে আমি
বাইক চালাতাম ধীরে।

মনরে বলি মন যদি তুই
বুঝতে দু দিন আগে
তবে কি তোর পা হারিয়ে
পঙ্গু হওয়া লাগে!

সময় গেলো ফুরিয়ে,
কষ্ট পেলাম নিজে নিয়ে।
যদি সাবধানে চালাতাম গাড়ি,
সুস্থ ভাবে রইতাম আজও আমার বাড়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন