
১. পড়ার সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করুন
- প্রতিটি টপিকের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলো ছোট করে লিখে নিন। এটি মনে রাখতে সহজ হবে এবং দ্রুত রিভিশন করা যাবে।
২. স্পেসড রিপিটিশন মেথড (Spaced Repetition)
- প্রথমবার পড়ার পর ১ দিনের মধ্যে একটি রিভিশন করুন।
- পরের রিভিশন দিন ৩ দিনের মাথায়।
- এরপর ৭ দিন এবং ১৫ দিনের ব্যবধানে রিভিশন করুন। এভাবে পড়া মস্তিষ্কে দীর্ঘমেয়াদে ধরে রাখা যায়।
৩. প্রশ্নোত্তর পদ্ধতি
- নিজেকে বা বন্ধুদের প্রশ্ন করুন। কোনো টপিক মনে করতে না পারলে, আবার রিভিশন করুন।
৪. ফ্ল্যাশকার্ড ব্যবহার করুন
- গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফ্ল্যাশকার্ডে লিখুন। এগুলো সহজে বহনযোগ্য, এবং খালি সময়েও দ্রুত রিভিশন করা সম্ভব।
৫. গুরুত্বপূর্ণ টপিক আলাদা করুন
- সবকিছু সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়ার প্রয়োজন নেই। বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশি নম্বরের টপিকগুলোকে অগ্রাধিকার দিন।
৬. পড়ার ধরন পরিবর্তন করুন
- গাইড/নোট থেকে পড়ে শোনানো।
- মানচিত্র, চার্ট বা ডায়াগ্রাম আঁকা।
- পড়া রেকর্ড করে শুনুন।
৭. টেস্ট ও মক এক্সাম দিন
- রিভিশনের পর নিজেকে যাচাই করতে নিয়মিত টেস্ট দিন। ভুলগুলো নোট করে আবার পড়ুন।
৮. সময় ভাগ করুন
- প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় রিভিশনের জন্য বরাদ্দ করুন। যেমন, সকাল বা রাতের সময়টা এর জন্য রাখতে পারেন।
৯. নিজের ভাষায় ব্যাখ্যা করুন
- যেকোনো বিষয় নিজের ভাষায় বুঝে বা কাউকে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন। এটি দীর্ঘমেয়াদে মনে রাখতে সাহায্য করবে।
১০. বিরতি নিন
- একটানা দীর্ঘসময় না পড়ে, ২৫-৩০ মিনিট পড়ার পর ৫ মিনিট বিরতি নিন। এটি পড়ায় মনোযোগ বাড়াবে।
এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে রিভিশন আরও ফলপ্রসূ হবে।