১৪ এপ্রিল রাতে ‘জুলাই এবং নববর্ষ’ নিয়ে ড্রোন শো’র মাধ্যমে নববর্ষের উদযাপন শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
;
রোববার (২৩ মার্চ) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘চল্লিশ বছর ধরে কাজ করছি, এই প্রথম এরকম একটা সভায় আমন্ত্রণ পেলাম’- কথাগুলো বলছিলেন মাইলসের হামিন ভাই, নববর্ষ উদযাপন বিষয়ক প্রস্তুতি সভায়। ভাবা যায়?
আজকে শুধু হামিন ভাই না, অনেকের জন্যই অভিজ্ঞতাটা ছিল নতুন। এরকম সভায় ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ প্রথমতো বটেই, বাঙালীদের মধ্যেও অনেক ঘরাণা থেকে কেউ প্রথম অংশ নিল। ব্যান্ড সঙ্গীতকে অপসংস্কৃতি তকমা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছিলো আমরা তো জানিই। আবার কোনো জিনিসকে দূরে রাখা হয়েছিলো ইসলামী সংস্কৃতি তকমা দিয়ে।
তিনি আরও লিখেন, আজকে সচিবালয়ের একই ঘরে ব্যান্ড, সুরের ধারা, ছায়ানট, সাইমুম, গারো, মারমাসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি বসেছিল। আমরা খুবই আনন্দ নিয়ে ব্রেনস্টর্মিং করেছি। এবং আমাদের প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি।
পোস্টে তিনি লিখেন, এবারের কেন্দ্রীয় শোভাযাত্রা কেবল আরও ইনক্লুসিভ হবে তা না, আরো কালারফুল, আরও মিউজিক্যাল হবে। এছাড়া চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে রক কনসার্ট হবে। যেখানে চাকমা, গারো, মারমা ব্যান্ডের পাশাপাশি বাংলা ভাষায় গান গায় এমন বিখ্যাত ব্যান্ডগুলো থাকবে। বেসরকারী উদ্যোগে হবে বাউল-ফকিরি গান। আর সুরের ধারা, ছায়ানট, এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত আয়োজনতো থাকছেই!
এর মধ্য বিশেষ করে বলতে চাই, সুরের ধারার কথা। তারা এবার ইনক্লুসিভ উৎসবের ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলা গানের পাশাপাশি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর শিল্পীদের দিয়ে তাদের ভাষায় তাদের গান পরিবেশনের পরিকল্পনাও করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, ১৪ এপ্রিল শেষ হবে মানিক মিয়া এভিনিউতে বি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর রাতে ‘জুলাই এবং নববর্ষ’ নিয়ে ড্রোন শো দিয়ে। এই শো-টা হচ্ছে চীন দূতাবাসের সহযোগিতায়।
সারাদেশে প্রতিটা জেলা-উপজেলাতেও নববর্ষ উদযাপন হবে। এর জন্য মন্ত্রণালয় বরাদ্দ দ্বিগুণ করছে। এবং যে জেলাগুলোতে ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস বেশী, সেখানে আমাদের বিশেষ অংশগ্রহণ এবং নজর থাকছে। আমি নিজেও বান্দরবানের বৈসাবি এবং শ্রীমঙ্গলে চা-শ্রমিকদের ফাগুয়া উৎসবে থাকছি। চলো বাংলাদেশ, এক সাথে।