কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার সভায় অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির পরিকল্পনা

গত ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, কলকাতার হোটেল পার্কে বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার এন্ড কমার্সের উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার কান্ট্রি হেড অমিত কুমারের ব্যবস্থাপনায় এবং ভারতের চিত্রপরিচালক পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্যের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার মূল লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং আন্দোলনের মাধ্যমে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।

সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি গোয়েন্দা প্রতিবেদনের একাংশ ফেসবুকে প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের

সভায় অংশগ্রহণকারীরা:

সভায় সরাসরি ও ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও ছাত্র সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন –

১. আসাদুজ্জামান খান কামাল
২. অসীম কুমার উকিল
৩. অধ্যাপিকা অপু উকিল
৪. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট
৫. নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন, সাবেক এমপি
৬. গোলাম রাব্বানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
৭. সিদ্দিকী নাজমুল আলম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (লন্ডন প্রবাসী)
৮. আল নাহিয়ান জয়, সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
৯. লেখক ভট্টাচার্য, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
১০. সাদ্দাম হোসেন, সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
১১. শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ
১২. লেদার লিটন, হাজারীবাগ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি
১৩. সুব্রত সুমন, বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার এন্ড কমার্স
১৪. শেখ হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে রুবেল
১৫. সোহানা সাবা, চিত্রনায়িকা ও আলো আসবে গ্রুপের অ্যাডমিন
১৬. মেহের আফরোজ শাওন, সাংসদ তহুরা আলীর কন্যা

গৃহীত সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনা:

সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে আন্দোলন ও সহিংস কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে। নেতৃবৃন্দকে দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নাশকতার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

বাস্তবায়ন পরিকল্পনা:

  • ১. জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাসিম – আন্দোলন ও ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের সমন্বয়ের দায়িত্ব।
  • ২. মোঃ রুবেল (শেখ হাসিনার ড্রাইভারের ছেলে) – প্রশাসন, পুলিশ ও সেনা কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্ব।
  • ৩. লেদার লিটন – হাজারীবাগ, ধানমন্ডি ও ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নাশকতার দায়িত্ব।
  • ৪. তারেকুজ্জামান রাজিব ও আসিফ – মোহাম্মদপুর ও আশপাশের এলাকায় নাশকতার নেতৃত্ব।
  • ৫. মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল – পুরান ঢাকা, চানখারপুল ও উত্তরা এলাকায় আন্দোলনের দায়িত্ব।
  • ৬. ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট – মগবাজার, গুলিস্তান, তেজগাঁও, বাড্ডা ও বনশ্রী এলাকায় নাশকতার দায়িত্ব।
  • ৭. ওয়াকিল উদ্দিন এর লোকজন – বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অরাজকতা সৃষ্টির দায়িত্ব।
  • ৮. গাজি মেসবাউল হোসেন সাচ্চু – বনানী ও মিরপুর এলাকায় সংঘর্ষ সৃষ্টির দায়িত্ব।
  • ৯. সোহানা সাবা – ভারতীয় কূটনৈতিকদের সাথে সমন্বয় রক্ষার দায়িত্ব।
  • ১০. মেহের আফরোজ শাওন – আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব।
নিউজটি শেয়ার করুন