বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বিয়ে করেছেন। শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
জানা গেছে, সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবো এলাকার শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
সার্জিস আলমের শশুরের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজিপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয়েছে।
একবোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়। তিনি একজন কোরআনের হাফেজা। সবসময়ই পর্দা করে চলেন। তাই তার নাম প্রকাশ করতে র কাছে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন তারা।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ফেসবুক পোস্টে সারজিসকে বিয়ের জন্য শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানিয়েছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফেসবুকে বিয়ের ছবি পোস্ট করে আসিফ মাহমুদ লিখেছেন, নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।
কিছুক্ষণ পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিয়ের ছবি পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক লিখেছেন, অভিনন্দন, বন্ধু সার্জিস! তোমাদের একসঙ্গে ভালোবাসা এবং সুন্দর মুহূর্তে ভরা একটি জীবন কামনা করছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসিফ মাহমুদ ও হাসনাত আব্দুল্লাহ একই ছবি পোস্ট করে সারজিস আলমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ছবিতে সারজিসকে শেরওয়ানি ও পাগড়ি পরা বরবেশে দেখা গেছে। তার পাশে দাঁড়িয়ে আছেন তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ প্রমুখ।
সারজিস আলম ২ জুলাই ১৯৯৮ সালে পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস আলম বড়। তার ছোট ভাই শাহাদাত হোসেন সাকিব।
সারজিস আলম ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদে প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন। তাছাড়া নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। গত বছরের জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন সারজিস আলম।