এফবিসিসিআই দলীয়করণের খেসারত দিচ্ছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা। গত সাড়ে তিন মাস সংগঠনটিতে নেই নির্বাচিত পর্ষদ। ফলে ব্যবসায়িদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ফেডারেশন কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কার কথা বলছেন স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা।
গত ১১ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িদের শীর্ষ সংগঠন-এফবিসিসিআইয়ের পর্ষদ বাতিল করেন সরকার। মূলত, তার আগে অবশ্য ব্যবসায়ীদের একটি অংশ, পর্ষদের পদত্যাগ দাবি করে আন্দোলনে নামে। তারই প্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট।
১২০ দিনের মধ্যে, নির্বাচন আয়োজন শর্তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রশাসন নিয়োগ করে। যা শেষ হতে বাকি আর দেড় সপ্তাহ। তবে, এখনো তফশিল চূড়ান্ত করতে পারেনি প্রশাসক। এদিকে, গত সাড়ে তিন মাস শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনটির পর্ষদ না থাকার খেসারত দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর, ব্যবসা-বাণিজ্য নানামুখী নতুন চ্যালেঞ্জে পড়লেও, নেতৃত্ব না থাকায়, ফেডারেশন শক্তিশালী কোন ভূমিকা রাখতে পারছেন না। যদিও, সংগঠনটির দলীয় করণ, এই পরিণতির কারণ হিসেবে স্বীকার করছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে ব্যবসা, বাণিজ্য ক্ষতির মুখে পড়ার শঙ্কার কথা বলছেন ব্যবসায়িরা। তারা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে, ব্যবসায়ীদের পক্ষে কথা বলার নেতা জরুরি হয়ে পড়েছে।
নির্বাচনের তফশিল না হলেও শওকত আজিজ রাসেল, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে প্রস্তুতির কথাও স্বীকার করেছেন। তার বিপক্ষে, এখনো কেউ প্রকাশ্যে আসেনি। তিনিও অবশ্য বলছেন, সংগঠনটির সংস্কার দরকার।
বর্তমানে ফেডারেশনের পরিচালক পদ ৮০টি, যাদের বড় একটি অংশই মনোনীত। সংস্কারে গুরুত্ব পাচ্ছে বিশাল পরিচালকের বহর কমিয়ে আনার।