ধীর গতিতে এগুচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার। দৈনিক লেনদেন অবস্থান করছে প্রায় দুই বছরের সর্বনিম্নে। ডিসেম্বর ক্লোজিং হওয়ায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ আসছে না। তবে আগামী বছরে শেয়ারবাজার বেশ ইতিবাচক থাকবে বলে মনে করছে কমিশন।
শেয়ারবাজারে একদিকে চলছে অস্থিরতা অন্যদিকে তীব্র তারল্য সংকট। সোমবার সূচক কমার পাশাপাশি দৈনিক লেনদেন নেমে এসেছে তলানীতে। ১ বছর ৯ মাসের সর্বনিম্নে লেনদেনের অবস্থান তৈরি করেছে ভীতিকর পরিস্থিতি।
সরকার পতনের পর শেয়ারবাজার ভালো করতে বিএসইসি চেয়ারম্যান হিসেবে খন্দকার রাশেদ মাকসুদ এবং আইসিবির চেয়ারম্যান হিসেবে অধ্যাপক আবু আহমেদ দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা তা পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের। এর আগে তাদের পদত্যাগ দাবিতে রাস্তায় নামলেও বর্তমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানানো হচ্ছে প্রতিবাদ।
এদিকে চলমান শেয়ারবাজারের লেনদেনের ধীরগতির কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে চলতি ডিসেম্বর ক্লোজিং। মাস শেষ হলে নতুন বছরেই শেয়ারবাজারে উঠবে নতুন সূর্য।
বর্তমান শেয়ারবাজার অনেক অবমূল্যায়িত। পিই রেশিও অনুযায়ী অত্যন্ত বিনিয়োগ উপযোগী। কিন্তু আস্থা না থাকায় আসছে না বিনিয়োগ। ব্যর্থ দায় কি বিএসইসি নেবে নাকি বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করবে সে প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের।