চাঁদাবাজির অভিযোগে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২ নেতাকে গণপিটুনি

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. জসিমউদ্দীন ও সংগঠনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমানসহ দুই নেতাকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বেধড়ক পিটিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাতে শহরের গণপূর্ত অফিসের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গুরুতর আহত দুই নেতাকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা জানান, শুক্রবার বিকেলে তারা তিনজন শহরের কাচ্চি ডাইনে খাবারের উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে বের হন। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. জসিমউদ্দীন, একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের সদস্য সচিব সাইদুর রহমান এবং কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক জুবায়ের হোসেন গণপূর্ত অফিসের সামনে পৌঁছালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বেশ কয়েকজন যুবক তাদের ঘিরে ফেলে।

তাদের অভিযোগ ওই যুবকরা বলেন, তোরা সরকারি-বেসরকারি নানা অফিস ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে বেড়াচ্ছিস, দাঁড়া তোদের চাঁদাবাজি ছাড়াচ্ছি।

আহতরা জানান, এই কথা বলেই তারা ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. জসিমউদ্দীন ও সদস্য সচিব সাইদুর রহমানকে বেধড়ক কিল-ঘুষি-লাথি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা দুজন প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা অক্ষত অপর শিক্ষার্থী তাদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।

‘কে এবং কেন মারপিট করেছে?’—এমন এক প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান, ‘ঠিক জানি না এবং কাউকে চিনিও না। তবে আমাদের বিশ্বাস, সিসিটিভির ফুটেজ দেখলে পুলিশ প্রশাসন হামলাকারীদের শনাক্ত করতে পারবে।’

এই বিষয়ে সদর থানার ওসি মো. সাজেদুর রহমান নিশ্চিত করে জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. জসিম উদ্দীন ও সদস্য সচিব মো. সাইদুর রহমানকে শহরের গণপূর্ত অফিসের সামনে কে বা কারা মারপিট করছে—এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

ওসি মো. সাজেদুর রহমান জানান, কে এবং কেন তাদের মারপিট করেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে, কারা এবং কেন এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা বের করার চেষ্টা আমরা চালাচ্ছি। শনিবার রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনো মামলা বা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।