আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন কৌশল জনগণ মেনে নেবে না: আমীরে জামাত

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন করে একটি বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে হাসনাত আবদুল্লাহ তার পোস্টে দাবি করেন সেনাবাহিনী আওয়ামিলীগকে পুনর্বাসনে সাহায্য করবে।

এর প্রেক্ষিতে যেখানে জামাতের আমির সেনাবাহিনীর ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ পরিকল্পনা এবং আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। এই নতুন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা সাজানো হচ্ছে সাবের হোসেন চৌধুরী, শিরিন শারমিন চৌধুরী এবং শেখ ফজলে নূর তাপসের মতো নেতাদের নিয়ে, যা পুরোপুরি ভারতের কৌশল বলে দাবি করা হচ্ছে। 

হাসনাত আবদুল বলেন গত ১১ই মার্চ দুপুর ২:৩০টায় ক্যান্টনমেন্টে একটি বৈঠকে এই পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয় এবং এই পরিকল্পনাকে রাজনৈতিকভাবে গ্রহণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

হাসনাত আবদুল্লাহ এবং তার সহযোগীরা এই পরিকল্পনার তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তাদের মতে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার যে চেষ্টা হচ্ছে, তা দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে এবং এর মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হবে। সেনাবাহিনী এই প্রস্তাবের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তবে জামাতের আমির স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে, আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চেষ্টা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।

সেনাবাহিনী তাদের বৈঠকে বলেছে, একাধিক রাজনৈতিক দলকে এই ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ পরিকল্পনার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করে, একাধিক বিরোধী দলের তুলনায় একটি দুর্বল আওয়ামী লীগ এবং একাধিক বিরোধী দল দেশের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে, জামাতর আমীর  পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা দেশের স্বার্থের বিপরীতে যাবে এবং তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যাবে না।

জামাতের আমির তার পোস্টে জনগণকে সতর্ক, সংযত এবং ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “এ সময় দেশের বৃহত্তর স্বার্থে দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করা প্রয়োজন।” জামাতের আমির আরও বলেন, “গণহত্যার বিচার ছাড়া দেশের অন্য কোনো বিষয়ে চিন্তা করার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং তা কখনোই সফল হবে না।”

এসময় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার এই চেষ্টা রাজনৈতিক অস্থিরতার সৃষ্টি করবে এবং জনগণের মধ্যে হতাশা তৈরি করবে। জামাত  তাদের অবস্থানে অনড় থাকতে চায়, যা সরকার ও সেনাবাহিনীর কাছে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকবে।

হাসনাত আবদুল্লাহ এবং তার সহযোগীরা এই ষড়যন্ত্রের বিরোধিতা করেছেন এবং জনগণের ওপর আস্থা রেখেছেন। তিনি বলেন, “আমরা জানি যে, জনগণই সর্বশেষ অবলম্বন। সেনাবাহিনী বা অন্য কোনো শক্তি দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না, জনগণ একত্র হয়ে তাদের মতামত জানাবে।”

জামাতের আমিরের শেষ বক্তব্য ছিল, “এ সময় দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার যে ষড়যন্ত্র চলছে, তা জনগণের কাছে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হবে না।”

এখন প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কিভাবে এগিয়ে যাবে এবং জামাত, আওয়ামী লীগ, সেনাবাহিনী ও অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে এই বিরোধের পরিণতি কী হবে।