সিরিয়ার নতুন শাসকদের সঙ্গে আসাদ সরকারের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ৭০ জন নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (০৭ মার্চ) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ডিসেম্বরে দেশটিতে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরীর আল সামের অভিযানে রাশিয়া পালিয়ে যান সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। এরপর দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। এটিকে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, সংঘর্ষে ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৩৫ জন সরকারি বাহিনীর সদস্য, ৩২ জন সাবেক সরকারের সমর্থক এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাতাকিয়া ও তারতৌস শহরে এই সহিংসতা শুরু হয়েছে। এ অঞ্চলে তীব্র বন্দুকের আওয়াজ শোনা গেছে। ফলে এলাকাটিতে কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় একটি সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, সরকারের বাহিনী প্রায় ৭০ জন সাবেক সরকারের সমর্থক যোদ্ধাকে হত্যা করেছে। এছাড়া আরও ২৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, অন্যান্য অঞ্চলে যেমন হোমস ও আলেপ্পো শহরেও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল হাসান আবদুল গানি আসাদ সমর্থকদের জন্য এক কঠোর সতর্কতা দিয়েছেন। তিনি বলেন, অসংখ্য মানুষ তাদের অস্ত্র ত্যাগ করে তাদের পরিবারের কাছে ফিরে গেছে, আর কিছু লোক ‘হত্যাকারী ও অপরাধীদের’ পক্ষ থেকে লড়াই করতে মরতে চাইছে। তাদের জন্য একটাই পথ - অস্ত্র ত্যাগ করুন, না হলে কঠিন পরিণতি অপেক্ষা করছে।
সিরিয়ার আলাওই সম্প্রদায়ের নেতারা জানিয়েছেন, আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে তাদের সম্প্রদায় হামলা ও সহিংসতার শিকার হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো হোমস ও লাতাকিয়া অঞ্চল।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন সরকার আসাদ সরকারের অধীনে তৈরি হওয়া রাসায়নিক অস্ত্রের মজুদ ধ্বংস করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে আসাদ সরকারের দাবি, তারা কখনও রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেনি। যদিও অনেক মানবাধিকার সংগঠন তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাসায়নিক আক্রমণের অভিযোগ করেছে।