গণহত্যার বিচার, গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো নিষিদ্ধ ঘোষণা, গণহত্যায় অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জুলাই মঞ্চ। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগে শুরু হয় এ অবস্থান কর্মসূচি।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জুলাই মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম, খুন, হত্যা চালিয়েছিল, সবশেষ জুলাই-আগস্টে দেশে গণহত্যা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ গণহত্যায় জড়িত আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে। গণহত্যায় জড়িত থাকায় আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জনগণের প্রত্যাশা ছিল অনেক বেশি, কিন্তু সরকার সে প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। প্রতিদিনই ডাকাতি-ছিনতাই হচ্ছে। এসব পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে।
সরকারের নির্দেশনা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এমন হওয়ার পিছনে প্রশাসনের গাফিলতি রয়েছে। অন্যদিকে সম্প্রতি অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী জামিন পাচ্ছে। এমনকি জুলাই গণহত্যায় জড়িত এমন আসামিও জামিন পাচ্ছে। এসবের দায়ে আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত।
অন্যদিকে সেনাবাহিনীর বিচারিক ক্ষমতা থাকার পরও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাদের উল্লেখযোগ্য কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। এসবের কারণে মনে হচ্ছে একটা গোষ্ঠী এক-এগারোর পাঁয়তারা করছে। বিগত এক-এগারোর অভিজ্ঞতা ভালো নয়, বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো এক-এগারো দেখতে চায় না।
জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শাকিল মিয়া বলেন, আমরা ৭ দিন যাবত এ কর্মসূচি পালন করে আসছি। আমরা লক্ষ্য করেছি জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার ক্ষেত্রে উপদেষ্টাদের আন্তরিকতার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় আমরা যেন জুলাই আন্দোলনে শহীদদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারি এজন্য আমাদের অনির্দিষ্টকালের জন্য এ কর্মসূচি।
জুলাই মঞ্চের আরেক প্রতিনিধি থোয়াই চিং মং শাক বলেন, সারা দেশে নিরাপত্তাহীনতা, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ করা যাচ্ছে কিন্তু স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। জুলাই গণহত্যাকারীদের বিচার করতে ব্যর্থ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন নিষিদ্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ দায়ী।