
১৫ বছরে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ভারতসহ ১০ দেশে বেশিরভাগ অর্থপাচার হয়েছে। আর এসব অর্থপাচারে জড়িত এস আলম, সামিট ও ওরিয়নসহ ১০টি প্রতিষ্ঠান। পাচার অর্থ ফেরাতে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নেতৃত্বে জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স। সংস্থাটির মহাপরিচালক জানান, অর্থ ফেরাতে ১০ দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হয়েছে। চাওয়া হচ্ছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার সহায়তা।
আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫ বছরে পাচার হয়েছে ১৮ লাখ কোটি টাকা। টিআইবির তথ্য অনুযায়ী, হুন্ডি নয়, আমদানি-রপ্তানির আড়ালে পাচার হয়েছে অর্থ। আর সরকারের যোগসাজশে হয়েছে এসব দুর্নীতি।
পাচারের টাকা ফেরাতে দুদকের নেতৃত্বে কাজ করছে সিআইডি, বিএফআইইউ ও কাস্টমস কর্মকর্তারা। তাদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, ভারতসহ ১০ দেশেই পাচার হয়েছে বেশিরভাগ টাকা।
দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘যেসব দেশে আমাদের অর্থপাচার হয়েছে, সেসব দেশ আমাদেরকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে। সেই বিবেচনায় আমরা আশা করছি যে, সময় লাগতে পারে। বাকিটা সেসব দেশের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে।’
দুদক জানায়, এস আলম, সামিট ও ওরিয়নসহ ১০টি প্রতিষ্ঠানের একটি চক্র বেশিরভাগ টাকা পাচার করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক।
আক্তার হোসেন আরও বলেন, ‘১০টি টাস্কফোর্সে কাজ করছে। সেখানে লিড এজেন্সি হিসেবে দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে।’
দুদক বলছে, অর্থ পাচারকারী অনেকেই এখন কারাগারে। পাচার হওয়া টাকা ফেরাতে তথ্য নিতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।