
মেহের আফরোজ শাওনের বাড়িতে আগুন দিলো ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে শেখ মুজিবের বাড়ি ভাঙচুরের খবর
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্রজনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে অনলাইনে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ভাষণকে কেন্দ্র করে এই অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি খবরে বিবিসির শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পারিবারিক বাড়িতে আগুন ধরিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়িতে হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পারিবারিক বাড়ি ধ্বংস করলো বিক্ষোভকারীরা।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত নেতার বাড়ি ধ্বংস করেছে বিক্ষোভকারীরা। সিএনএন-এর সংবাদের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশের নির্বাসিত সাবেক নেতা শেখ হাসিনার পরিবারিক বাড়ি ধ্বংস করেছে বিক্ষোভকারীরা।
অপরদিকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের শিরোনাম ছিল- বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাবার বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।
নোয়াখালীতে ভাঙা হচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের বাড়ি
পিনাকী ভট্টাচার্যের দাবি: শেখ মুজিবের ছবি সরানোর আহ্বান, ডিজিএফআই-র্যাবের গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের দাবি

বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সমাজকর্মী পিনাকী ভট্টাচার্য গতকাল আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টের মাধ্যমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেছেন। তার মতে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আজকের মন্ত্রিপরিষদ সভায় জরুরি ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া উচিত।
প্রথম দাবিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশ ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারের সকল স্থাপনা থেকে “ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের প্রতীক” হিসেবে আখ্যায়িত শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ও যেকোনো ধরনের চিহ্ন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলা উচিত।
দ্বিতীয় দাবিতে তিনি বলেছেন, ভুক্তভোগী ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র্যাব পরিচালিত গোপন বন্দিশালা পরিদর্শনের তারিখ ও সময় নির্ধারণ করে তা আজকের প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা করা উচিত।
এই পোস্টটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচিত হচ্ছে এবং বিভিন্ন মহলে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তবে এ বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নাম পালটে ৩৬ জুলাই এভিনিউ করার প্রস্তাব
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের নাম পালটে ৩৬ জুলাই এভিনিউ করার প্রস্তাব করলেন জনপ্রিয় এক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য

পাবিপ্রবিতে শেখ মুজিবুর ও শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভেঙ্গে দিলেন শিক্ষার্থীরা

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ( পাবিপ্রবি) ছাত্রদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং ছাত্রীদের শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভেঙে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত দশটার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের শিক্ষার্থী এই কাজ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, রাত নয়টায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের উদ্দেশ্যে লাইভে রেকর্ড বক্তব্য দেন। এ বক্তব্য শুরু হওয়ার পর পরই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মত পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে প্রথমে শেখ মুজিবুর রহমান হলের নামফলক ভাঙেন, এরপর তারা মিছিল নিয়ে শেখ হাসিনা হলের দিকে যান। তারপর শেখ হাসিনা হলের নামফলক ভাঙেন। এরপর তারা রঙ দিয়ে দুই হলের নাম মুছে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইইসিই বিভাগের শিক্ষার্থী শেখ মুজাহিদ হোসেন বলেন, ‘৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফলে হাসিনা পালানোর পর থেকেই বিভিন্ন সময় অপতৎপরতার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা নানা কূটকৌশল চালিয়ে আসছে। আমরা শক্তভাবে বলতে চাই আওয়ামী ফ্যাসিবাদী কোনো ধরনের অপরাজনীতি ও অপচচর্চা আমরা সহ্য করব না। আজ আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার লাইভ রেকর্ডের প্রতিবাদে আমরা দুইটি হলের নামফলক মুছে দিলাম। স্বৈরাচারের কোনো ঠিকানা এ পাবিপ্রবিতে হতে দেব না।’
আবু সাঈদের ক্যাম্পাসে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হল শেখ মুজিবের ম্যুরাল

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নামফলক ভেঙে ফেলেছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে কারমাইকেল কলেজে থাকা ম্যুরালটিও ভেঙে ফেলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০ টার দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালে ভাঙচুর বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে ভাঙচুর শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে সিটি করপোরেশনের একটি বুলডোজার নিয়ে এসে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ম্যুরালটি। এর আগে হাতুড়ি, রড, শাবল দিয়ে কারমাইকেল কলেজে থাকা বঙ্গবন্ধুর মুরাল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদানের ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স। তারই অংশ হিসেবে রংপুরের দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙ্গে ফেলেছে ছাত্রজনতা।
চট্টগ্রামে মশাল মিছিল, শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর

নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বুধবার রাতে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বক্তৃতা প্রচারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। পরে তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও নগরের জামাল খান এলাকায় শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম নগরের জামাল খান এলাকা থেকে রাত ১০টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা মিছিল শুরু করেন। শেখ হাসিনার হত্যার বিচারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেন তারা। মিছিলটি জামাল খান, চেরাগী পাহাড় হয়ে ফের জামাল খান মোড়ে এসে শেষ হয়।
পরে তারা প্রেসক্লাবের সামনে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন। তারা মিছিল নিয়ে চকবাজার হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে যায় সেখানেও শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেন।
বরিশালে গুঁড়িয়ে দিল শেখ হাসিনার ভাইয়ের বাড়ি

বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর কালীবাড়ি রোডের সেরনিয়াবাত ভবনের সামনে বুলডোজার নিয়ে উপস্থিত হয় তারা। পরে রাত সোয়া ১টার দিকে ভবনটি ভাঙতে শুরু করে।
প্রথমে সেনাবাহিনী ভবনের গেটে ব্যারিকেড তৈরি করে জনতাকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করলেও ছাত্র-জনতা ব্যারিকেডটি ভেঙে ভবনের কম্পাউন্ডে ঢুকে পড়ে। এ সময় সমাবেত জনতা আওয়ামী বিরোধী নানা স্লোগান দিতে থাকে।
শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানান, সেরনিয়াবাত ভবনটি সাদিক আব্দুল্লাহর টর্চার সেল হিসেবে ব্যবহৃত হত। তিনি বলেন, এটি ফ্যাসিবাদের আস্থানা, আর বাংলাদেশে এমন কোনো জায়গা আমরা রাখতে চাই না।
ময়মনসিংহে শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল ভাঙচুর

ময়মনসিংহ নগরের সার্কিট হাউস মাঠ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে হাতুড়ি-শাবল নিয়ে ম্যুরাল ভাঙচুর শুরু হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্য সচিব আলী হোসেন কালবেলাকে বলেন, পতিত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালানোর পরেও আবার সে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে। এ অপতৎপরতা দেশের ছাত্র-জনতা মেনে নেবে না। তারই প্রতীক স্বরূপ ধানমন্ডির-৩২ নম্বরের মতো ময়মনসিংহেও স্বৈরাচারের স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবুরের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে ছাত্র-জনতা।
অপরদিকে ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে বঙ্গবন্ধু হলের ‘মুজিব’ ম্যুরাল। রাত ১১ টার দিকে ভাঙচুর শুরু করে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সদস্য সচিব আলী হোসেন, জেলা কমিটির মুখপাত্র ফয়সাল ফারনিম, মহানগর কমিটির সদস্য সচিব আল নুর মো. আয়াস, মহানগর কমিটির যুগ্ন আহ্বায়ক নাফিউস রোহানসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী।
ভোলায় তোফায়েল আহমেদের বাড়িতে আগুন
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদের বাসভবনে আগুন দেওয়া দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
বুধবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে ভোলা সদরের গাজীপুর রোডে অবস্থিত তোফায়েল আহমেদের ‘প্রিয় কুটির’ নামের বাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, রাত সাড়ে ১২টার দিকে একদল যুবক ভোলার বাংলা স্কুল মোড়ে থেকে আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এ ভোলাতে রাখবো না’, ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’দিতে থাকে। পরে তারা তোফায়েল আহমদের বাসভবনটিতে আগুন ধড়িয়ে দেয়। এ সময় ঘরে থাকা আসবাপত্র বাইরে এনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
সিলেটে ভাঙা হল শেখ মুজিবুরের ম্যুরাল

সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে শহরের কোর্ট পয়েন্টে সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বুলডোজার নিয়ে ম্যুরালটি গুড়িয়ে দেয়। এরপর, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী, বিএনপি ও ছাত্রদলের সদস্যরা নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল শেখ মুজিবের ম্যুরাল

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বের হয়ে বুলডোজারে বঙ্গবন্ধু ম্যুড়াল ভাঙ্গা শুরু করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে স্লোগান দিতে থাকেন।
এদিকে একইদিন খুলনার শেখ বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা। বুধবার রাত ৯টায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিরোধী স্লোগান দিয়ে বাড়িটি ভাঙচুর শুরু করে ছাত্র-জনতা। বাড়িটি বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন ও খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দীন জুয়েলের।
জাবিতে মুছে দেওয়া হল শেখ মুজিবুর ও শেখ হাসিনার গ্রাফিতি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মুছে ফেলেছে এবং মুর্যাল ভেঙে দিয়েছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় জুলাই গণহত্যার ভিডিও, ডকুমেন্টারি ও ছবি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। প্রদর্শনীতে জাবিসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জুলাই গণহত্যার চিত্র, আন্দোলনের ফুটেজ ও দলিল উপস্থাপন করা হয়।
আমুর বরিশালের বাড়িতে বুলডোজার চালাচ্ছে ছাত্র-জনতা
বরিশালে বুলডোজারের আঘাতে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল আমির হোসেন আমুর বাড়ি
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর বরিশালের বাসভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে জনতার একাংশ ভবনটি ভাঙতে শুরু করে। এর আগে, দেড়টার দিকে বুলডোজার ও মিছিল নিয়ে ভবনের সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষুব্ধ জনতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১২টার দিকে নগরীর কালীবাড়ি রোডে সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন ধ্বংসের পর ছাত্র-জনতা জীবনানন্দ দাশ সড়কে অবস্থিত আমুর বাড়ির দিকে অগ্রসর হয়। পরে তারা বুলডোজার দিয়ে বাড়িটির কাঠামো ভাঙতে শুরু করে।
শিক্ষার্থী আকিব বলেন, ফ্যাসিবাদের আস্তানাগুলো একে একে গুঁড়িয়ে দেব। জনগণের টাকায় ফ্যাসিস্টরা যে প্রাসাদ গড়েছে, তা টিকতে দেওয়া হবে না।
স্থানীয় এক বাসিন্দা মোস্তাফিজ জানান, ভারতে পালিয়ে গিয়েও ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমরা জানিয়ে দিতে চাই, বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগের কোনো স্থান নেই। তাদের ইতিহাস মুছে ফেলা হবে।
এর আগে, সাদিক আব্দুল্লাহর বাসভবন ভাঙার সময় সেনাবাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও আমুর ভবন ভাঙার সময় তেমন প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়নি ছাত্র-জনতাকে।
উল্লেখ্য, ঝালকাঠির স্থায়ী বাসিন্দা হলেও আমির হোসেন আমু বরিশালের এই ভবন থেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতেন।
ইবিতে শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে জুতা নিক্ষেপ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই কর্মসূচির আয়োজন করে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের সামনে শেখ হাসিনার একটি প্রতিকৃতি টাঙিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে সেটিতে জুতা নিক্ষেপ করেন। অংশগ্রহণকারীদের জন্য বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থাও রাখা হয়।
শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দেশে দমন-পীড়ন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার উপর দমননীতি প্রয়োগ করে মুক্তচিন্তার কণ্ঠরোধ করা হয়েছিল। তাদের মতে, জনগণের প্রতিরোধ ও আন্দোলনের মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, তবে কিছু শক্তি আবার তা পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, সম্প্রতি শেখ হাসিনা ভাষণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন, যা তারা ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত হিসেবে দেখছেন। তাই প্রতিবাদ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
সংগঠনের সহ-সমন্বয়ক ইয়াসিরুল কবির বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত পরিণতি তুলে ধরা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, দেশ থেকে ফ্যাসিবাদের সব চিহ্ন মুছে ফেলা এবং যেন ভবিষ্যতে এমন শাসন আর প্রতিষ্ঠিত না হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো পরিচালনা করেছেন এবং বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষদের ওপর নিপীড়ন চালিয়েছেন। এখন তিনি বিদেশ থেকে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন, কিন্তু ছাত্র-জনতা পলাতক হাসিনার এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
কুমিল্লায় বাহাউদ্দীনের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ
কুমিল্লায় সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে কুমিল্লা নগরের মুন্সেফবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষুব্ধরা প্রথমে বাড়ির জানালার গ্রিল ভাঙার চেষ্টা করেন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে তারা বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর চালান এবং পেট্রল ঢেলে কয়েকটি কক্ষ ও ভবনের সামনে আগুন ধরিয়ে দেন।
যশোরে শেখ মুজিবের ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও নামফলক ভাঙচুর
যশোরে জেলা পরিষদ, সদর উপজেলা পরিষদ, যশোর পৌরসভায় নির্মিত শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ও মনিহার এলাকায় বিজয় স্তম্ভের প্রাচীরসহ অন্তত ৭ জায়গায় নামফলক ভাঙচুর করেছেন ছাত্র-জনতা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথমে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এসে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালটি ভেঙে ফেলে। ১০ থেকে ১২টি মোটরসাইকেলে করে ২৫-৩০ জন যুবক সেখানে আসে। তাদের হাতে লোহার পাইপ, হাতুড়ি ও শাবল ছিল। এরপর তারা জেলা পরিষদ চত্বরে শেখ মুজিবের ম্যুরালও ভেঙে ফেলে। পরে তারা পুরোনো কসবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে উদ্বোধক হিসেবে থাকা শেখ হাসিনার নামফলক ভাঙচুর করে।
পরে তারা শহরের অন্তত সাত থেকে আটটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে যেখানে শেখ হাসিনার নামফলক ছিল সেসব ভেঙে দেয়। মুক্তিযুদ্ধের ‘বিজয় স্তম্ভে’ থাকা শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও সেখানকার নামফলক ভাঙা হয়েছে।
নাটোরে সাবেক এমপি শফিকুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর চালাচ্ছে বিক্ষুব্ধ জনতা
১২:৩২ মিনিটের ধানমন্ডি ৩২

বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধানমন্ডির বাড়ি
জামায়াত আমিরের আবার ফেসবুক স্ট্যাটাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আবার একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার ( ০৫ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।
সার্বিক পরিস্থিতির জন্য পালিয়ে যাওয়া ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার উস্কানীই মূলত দায়ী।মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনা কখনোই বাংলাদেশের মানুষকে অন্তরে ধারন করে না। এটি তার ঘৃণিত স্বভাব।
হাসনাত ও নুসরাতের ফেসবুক স্ট্যাটাস
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ঘটনায় ফেসবুক স্ট্যাটাস দিতে দেখা গেছে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও নুসরাত তাবাসসুমকেও।
হাসনাত তার স্ট্যাটাসে লিখেছেন,
‘ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ।’
নুসরাত লিখেছেন,
‘৯টা বলে ৮টায় শুরু করার ধিক্কার জানাই! হায়রে মানোস (মানুষ)! ছিহ সমোন্নোয়ক (সমন্বয়ক) ছিহ!’
সারজিস আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাস
বুধবার রাত ১১টার দিকে ফেসবুক নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক। স্ট্যাটাসে সারজিস লিখেছেন,
‘আবু জাহেলের বাড়ি এখন পাবলিক টয়লেট!’
তার সেই স্ট্যাটাসে অনেকেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে যুক্ত করে কমেন্ট করেন।
জামায়াত আমিরের ফেসবুক স্ট্যাটাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। বুধবার ( ০৫ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে তিনি একটি স্ট্যাটাস দেন।
বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক দায়িত্বশীল নাগরিকবৃন্দের আহবান কোন উস্কানিতে পা না দিয়ে ধৈর্য ধরুন এবং প্রিয় দেশকে ভালোবাসার নমুনা প্রদর্শন করুন।
আরও একটি বুলডোজারের আগমন। মোট দুটি। ৩য় আরেকটি আসার কথা।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সবশেষ পরিস্থিতি নিয়ে লাইভে সাংবাদিক ইলিয়াস ও কনক সারোয়ার
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা
এবার সুধা সদনেও আগুন
এবার শেখ হাসিনার নিজের বাড়ি সুধা সদনে আগুন দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতা। বাড়িটি ধানমন্ডি এলাকার ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার দিকে ভবনটি আগুন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ৫ আাগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বাড়িটি খালি ছিল। বুধবার ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণায় উত্তেজিত ছাত্র-জনতা রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে শেখ মুজিবের বাড়ির সামনে জড়ো হয়। এ সময় ভবনটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুদ্ধ ছাত্রজনতা। পরে শেখ হাসিনার নিজের বাড়ি সুধা সদনেও আগুন দেয়।
অডিও বার্তায় অভ্যুত্থানকারীদের বাড়িঘরে আগুন দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিলেন হাসিনা
“আমাদের বাড়ি ঘর আছে, ওদের বাড়ি ঘর আছেনা? এখন আর বসে থাকার সময় নাই, আমাদেরও বাড়ি ঘরে আগুন দিচ্ছো ওদের বাড়ি ঘরে আগুন দিতে হবে সবদিক থেকে…ওদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান…খুঁজে বের করো। আজকে তাদের একটাই কাজ, সব জায়গাতে বইসা থাকবে আর খালি আগুন দিবে। কিছু আগুনের ব্যবস্থা মনে হয় আমাদেরও রাখা দরকার…”
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল করছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা
ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে ওয়াহিদুজ্জামান এর পরামর্শ
৩২ নম্বরে মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব সমর্থনযোগ্য নয়। বরং হাসিনার ‘শোষণ’ আমলে যারা বিনা বিচারে খুন ও গুম হয়েছেন তাদের জন্য স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা যেতে পারে।
প্রথমতঃ মসজিদের শহর ঢাকা সহ বাংলাদেশে মসজিদ বানানোর জায়গার কোনো অভাব নেই। তাছাড়া এমন পাপাচারের জায়গায় মসজিদ বানানো হলে ইবাদত কবুল হবে কি-না, সেটা একমাত্র আল্লাহ জানেন।
দ্বিতীয়তঃ ‘বাংলাদেশে ইসলামী উগ্রবাদী শক্তির উত্থান হয়েছে’ বলে যে আন্তর্জাতিক প্রচারণার ষড়যন্ত্র চলছে, ৩২ নম্বরে মসজিদ নির্মাণের প্রেক্ষিতে তা আরো জোরদার হবে।

ধানমন্ডি ৩২ নিয়ে জুলকারনাইন সায়েরের পরামর্শ
ধানমন্ডি ৩২-এ বাড়ি ভাঙা নিয়ে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে পরামর্শ দিয়েছেন প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এ স্ট্যাটাস দেন।
জুলকারনাইন সায়ের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘দেশে অনেক উৎসব আছে কিন্তু জাতীয় হাগু-মুতু উৎসব নাই। আপনারা যারা একটি বিশেষ ভবন ভাঙতে উদ্যোগ নিয়েছেন, তারা অহেতুক এইসব ভাঙচুরের মধ্যে না গিয়ে, ওইস্থানকে জাতীয় হাগুশালায় পরিণত করার বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।’
জুলকারনাইন আরও লেখেন, ‘যেখানে বছরের নির্দিষ্ট দিনে নারী-পুরুষ সবাই আলাদা আলাদা ফ্লোরে ওপেন কনসার্টের মাধ্যমে উৎসবটি পালন করবে।’
৩২ নম্বর ভেঙে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা পিনাকীর
শেখ হাসিনার পৈতৃক বাড়ি ধানমন্ডি-৩২ নম্বর ভেঙে মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ট অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।
বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, বুলডোজার ঢুকছে ৩২ নম্বরে। নির্মাণ শ্রমিক ভাইয়েরা আসুন যে যেইখানে আছেন আসুন। কাজ শেষ হলে একটা বেড়া দিবেন। একটা সাইনবোর্ড লাগাবেন। ওইখানে ৫ মে ২০১৩’র শহীদদের স্মৃতিতে একটা মসজিদ হবে। আলেমদের সাহায্য নিবেন কীভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।
আ’লীগ-ছাত্রলীগের লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে মশাল মিছিল
রাজবাড়ীসহ সারাদেশে আওয়ামী লীগ-ছাত্র লীগের লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৭টার দিকে শহরের পান্না চত্বর থেকে শহরে একটি মশাল মিছিল বের হয়।
মশাল মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজবাড়ী প্রেস ক্লাব ও পরে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে বিভিন্ন স্লোগান দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা শেখ হাসিনার ছবি আগুনে পুড়িয়ে দেয়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বাধা পেয়ে ফিরে গেলো ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি
রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ির সামনে অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। আগুনের সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ছাত্র-জনতার বাধার মুখে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ফিরে আসে।
৩২ নম্বরে বাড়ি ভাঙার জন্য বুলডোজার চলে এসেছে

খুলনার ‘শেখবাড়ি’ ভবন বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হলো
খুলনা নগরীর ময়লাপোতা মোড় সংলগ্ন শেরেবাংলা রোডের শেখবাড়ি খ্যাত ভবনটি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত নয়টার দিকে কিছু শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে শেরেবাংলা রোডের শেখবাড়ির গেট ভাঙচুর করে। এ সময় ভবনের বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, যারা বিগত ১৬ বছর ধরে মানুষের উপর জুলুম নির্যাতন করেছে, এই দেশের অর্থ পাচার করেছে, গুম করেছে, নির্বিচারে মানুষ হত্যা করেছে তাদের ঠাঁই এই বাংলাদেশের আর হবে না। এজন্য তাদের সকল অস্তিত্ব মুছে ফেলা হবে। শিক্ষার্থীরা আরও ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগের সকল ধরনের দুর্গ আগামীতে নিশ্চিহ্ন করা হবে।
কুষ্টিয়ায় বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে মাহবুব উল আলম হানিফের বাড়ি
কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফের বাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে নগরীর পিটিআই রোডের বাড়িটিতে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধরা।
একপর্যায়ে বাড়িটির একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। পরে একটি বুলডোজার দিয়ে বাড়িটি ভাঙার কার্যক্রম শুরু করে বিক্ষুব্ধরা।