
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অগ্রণী ভূমিকা রাখা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের প্রত্যক্ষ সহযোগী সি এস ই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান কে নির্দিষ্ট পদে পূণর্বহাল রাখায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন । সংগঠনটির মুখপাত্র এস.এম. মুহতাসিম বিল্লাহ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তাঁরা এ তীব্র নিন্দা জানায়।
সম্প্রতি ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অথরিটির ফ্যাসিবাদকে পূণর্বাসণ প্রক্রিয়া স্বরুপ সি এস ই ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানকে তার দায়িত্বে পূণর্বহাল রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা একটি ফ্যাসিবাদি সিদ্ধান্ত হওয়ায় এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন ।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি ইয়ুথ অ্যাসোসিয়েশন এর আহবায়ক জনাব জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা লক্ষ্য করেছি যে, ডি আই ইউ অথরিটি শিক্ষার্থীদের ২২ এবং ১১ দফা আন্দোলনের মেনে নেওয়া দাবীগুলার অর্ধেকই অপূর্ণ রেখেছেন এবং জুলাই বিপ্লবের চেতনার পরিপন্থি অধিকাংশ কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অথরিটি পক্ষপাতিত্ত্ব করছেন। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে জানতে পারি যে, সি এস ই ডিপার্টমেন্ট সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ফ্যাসিবাদের প্রত্যক্ষ সমর্থনকারী ডিপার্টমেন্ট এর চেয়ারম্যান পদত্যাগ করে। পরবর্তীতে ভার্সিটি অথরিটি আবার তাকে অস্থায়ী চেয়ারম্যান করে, তিনি ছিলেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের পদধারী ব্যক্তি এবং কর্মজীবনেও ছাত্রলীগকে প্রোমোট করেছেন। ২ মাসের মধ্যে স্থায়ী চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও কাল বিলম্ব করে আরো যোগ্য ব্যাক্তি থাকা সত্ত্বেও কোনো ফ্যাকাল্টি এবং শিক্ষার্থীদের মতামত না নিয়েই উক্ত বিতর্কিত ফ্যাকাল্টিকে স্থায়ী চেয়ারম্যান করা যা একটি ফ্যাসিবাদী সিদ্ধান্ত যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি!
আমরা দ্যার্থহীন কন্ঠে জানিয়ে দিতে চাই, প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ট্রাস্টিবোর্ডের শোষণ প্রথাকে আমরা কবর দিতে বদ্ধ পরিকর। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে প্রমানিত। এসকল ট্রাস্টিবোর্ডকে আমরা কখোনোই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের রূপকার প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উপর পূর্বের ন্যায় একনায়কতন্ত্র চালানোর অনুমতি দেওয়া হবে না।
অতএব ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অথোরিটির নিকট আহবান জানাচ্ছি সকল বিতর্কিত সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের সকল যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে মানসম্মত একটি শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস গঠনে মনোযোগী হোন! যদি আপনারা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির বিরুদ্ধে গিয়ে ফ্যাসিবাদী সিস্টেমকে প্রমোট করার নূনতম প্রচেষ্টা চালান তাহলে তার পরিনাম ভালো হবেনা। আমরা যেহেতু ফ্যাসিবাদ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছি। আপনাদেরও বিতাড়িত করতে আবু সাইদের উত্তরসূরীদের বেশি সময় লাগবেনা। সময় থাকতে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়ে ফ্যাসিবাদমুক্ত শিক্ষার পরিবেশ গড়ে তোলার আহবান জানাচ্ছি!