
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের নিবন্ধনভুক্ত সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে বিকালে শাহবাগে এ তথ্য জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম মাসুদুল হক।
অন্যদিকে স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের সভাপতি কাজী মোখলেছুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে আগামী জুনের মধ্যে জাতীয়করণের বিষয়টি বাস্তবায়ন না হলে আমরা ১ জুলাই থেকে আবার রাজপথে নেমে আন্দোলন করবো।’
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এসএম মাসুদুল হক জানান, আন্দোলনকারী শিক্ষকদের ছয় দফা দাবি মন্ত্রণালয় মেনে নিয়েছে। এ সময় শিক্ষকদের ওপার পুলিশের লাঠি চার্জের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ করেছে বলেও জানান তিনি।
এসএম মাসুদুল হক বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা জাতীয়করণ করা হবে।’ ইবতেদায়ি মাদ্রাসায় আলাদা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হবে বলেও জানান যুগ্ম সচিব।
আন্দোলনকারী এবতেদায়ি শিক্ষকরা জানান, ১৯৮৪ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হয়। ১৯৯৪ সালে একই পরিপত্রে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসার শিক্ষকদের ৫০০ টাকা সরকারি অনুদান দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি মাদ্রাসার বিষয়ে ৩ হাজার ৩০০ টাকা অনুদান দেওয়া ছাড়া এমপিওভুক্তও করা হয়নি।
শিক্ষক কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ দিনের চেষ্টায় এবার মন্ত্রণালয় দাবি মেনেছে। শিক্ষকরা আন্দোলন শেষ করে ফিরে যাচ্ছেন।