ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ |

দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ বায়ুদূষণে প্রায়ই শীর্ষে থাকে। বিশেষ করে ঢাকা, দিল্লি ও লাহোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ শহরে দূষণের মাত্রা এতটাই প্রকট যে, এখানকার নাগরিকদের বায়ু সেবন বিষ গ্রহণের নামান্তর। দিন দিন বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। আজও বায়ুদূষণে শীর্ষে রয়েছে ঢাকা শহর।

আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী, আজ মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ২৬৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’।

একই সময় ২৩৩ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। যা সেখানকার নাগরিকদের জন্য ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’। এবং ২১৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর।

এ ছাড়া চতুর্থ থেকে দশম অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে নেপালের কাঠমাণ্ডু, উগান্ডার কাম্পালা, পাকিস্তানের করাচি, ভারতের কলকাতা, মিশরের কায়রো, উজবেকিস্তানের তাসখন্দ এবং আফগানিস্তানের কাবুল।

আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।

বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।

নিউজটি শেয়ার করুন