বিদেশি শিক্ষার্থীদের দুঃসংবাদ দিয়েছে কানাডা। দেশটি জানিয়েছে, চলতি বছরে তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের লাগাম টানার পরিকল্পনা করেছে। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য পরিষেবার ওপর চাপ কমানোর লক্ষ্যে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
শনিবার (২৪ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে চার লাখ ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীদের জন্য অনুমোদন করা হবে। যা গত বছরের তুলনায় ১০ শতাংশ কম।
কানাডায় গত কয়েক বছরে বিপুল সংখ্যক অভিবাসী পাড়ি দিয়েছেন। এর ফলে দেশটিতে আবাসন সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য জনসংখ্যায় লাগাম টানতে দেশটির সরকার গত বছরেও বিদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা কমিয়ে দেয়।
আগামী মার্চে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে পারেন জাস্টিন ট্রুডো। দেশটিতে অভিবাসন হার কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বিভিন্ন জরিপে অভিবাসীদের প্রতি জনসমর্থন প্রচুর কমতে দেখা গেছে।
এর আগে ২০২৩ সালে সাড়ে ছয় লাখের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীকে অনুমোদন দেয় কানাডা। বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তানসহ বিশ্বের উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোরে অভিবাসপ্রত্যাশীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে কানাডা।
কানাডার সরকারি তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশটিতে সক্রিয় ভিসাধারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছেছে। কিন্তু ১০ বছর আগে ২০১২ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র দুই লাখ ৭৫ হাজার।
এর আগে গত বছরের শুরুতে স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের ব্যাংকে আগের তুলনায় দ্বিগুণ অর্থ দেখাতে হবে বলে জানান অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার। ওই সময়ে জানানো হয়, আগে শিক্ষার্থীদের জীবন ব্যয় (কস্ট অব লিভিং) খরচ হিসেবে ব্যাংকে ১০ হাজার ডলার আছে এমন প্রমাণ দেখাতে হতো। কিন্তু এখন জীবন ব্যয়ের খরচ বেড়ে যাওয়ায় এটি ২০ হাজার ৬৩৫ ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।
ওই সময়ে কানাডার অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেন, কানাডায় পড়তে আসার ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে সেগুলোর সঙ্গে জীবন ব্যয়ের বিষয়টি সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমন্বয় করা হয়নি। ফলে কানাডায় আসা শিক্ষার্থীরা দেখতে পান সেখানে থাকার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই।