ইসরায়েলের সঙ্গে গোপন আঁতাত এরদোয়ানের, নথি প্রকাশ্যে

সমুদ্রে অবস্থান করা তুরস্কের তেলবাহী জাহাজগুলোর আনুষ্ঠানিক গন্তব্য ইতালি। হঠাৎ করেই বন্ধ জাহাজের অবস্থান নির্ণয় করার ট্রান্সপন্ডার।

এবার রহস্যের শুরু। কিন্তু না ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করলে কি হবে স্যাটেলাইটের চোখ তো আর ফাঁকি দেয়া যায় না। এবার স্যাটেলাইটের চিত্র পরীক্ষা করে তুরস্কের পার্লামেন্ট সদস্য জেরগারলিওগলু জানান যে এই তেল বহনকারী জাহাজগুলো ইসরায়েলের হাইফা এবং আশদোদ বন্দরে গিয়েছে।

শুধু দাবি করেই ক্ষান্ত হননি তিনি এর সপক্ষে দেখিয়েছেন স্যাটেলাইট ছবি ও সামুদ্রিক ডাটাও। সেখানে সুস্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে জাহাজের গন্তব্য।

সম্প্রতি ইরানের সংবাদমাধ্যম পার্স টুডে এক বিস্তারিত প্রতিবেদনে এই ভয়াবহ তথ্য তুলে ধরেছে। যেখানে মূলত আবারো উন্মোচিত হয়েছে মুখোশের অন্তরালে এরদোয়ানের নতুন এক রূপ!

এর আগে তুরস্কের পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা উপত্যকায় নৃশংস হামলার মধ্যে এরদোয়ান ইসরায়েল সরকারের কাছে অস্ত্র বিক্রি করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্ক প্রথম মুসলিম দেশ যারা ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় এবং তাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

১৯৪৯ সালে তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। এরপর এ সম্পর্ক সাংস্কৃতিক, বাণিজ্যিক এবং এমনকি সামরিক স্তরেও বিস্তৃত হয়।

মাঝেমধ্যে প্রকাশ্যে ২/১ বার সম্পর্ক ছিন্ন করার নাটক করলেও গোপন আঁতাত কখনোই থেমে থাকেনি। বরাবরের মতো রাতে অস্ত্র -তেল পাঠিয়ে দিনে ত্রাণবাহী প্লেন দিয়ে লাশের রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছেন এরদোয়ান!

তথ্যসূত্র: পার্স টুডে

ভাষান্তর: দৈনিক দিগন্ত কন্ঠ

নিউজটি শেয়ার করুন