বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে আজ (সোমবার) থেকে । সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন সাভারে ভোটার তালিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানায়, ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে এই কার্যক্রম চলবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। নিবন্ধন কেন্দ্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত।
তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ হলে ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু ছবি তোলে নিবন্ধন সম্পন্ন করার কাজ। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
এর আগে সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন জানান, আগামী ছয় মাসের মধ্যে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করা হবে। পুরো কর্মযজ্ঞে নিয়োজিত থাকবে ৬৫ হাজার লোকবল। কারা ১ দশমিক ৫২ শতাংশ নাগরিককে ভোটার তালিকায় যুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করবেন।
ভোটার হতে যেসব তথ্যের প্রয়োজন হবে—
১. ১৭ ডিজিটের অনলাইন জন্মসনদের কপি।
২. জাতীয়তা বা নাগরিকত্ব সনদের কপি।
৩. নিকট আত্মীয়ের (পিতা-মাতা, ভাই-বোন প্রভৃতি) এনআইডির ফটোকপি।
৪. এসএসসি, দাখিল, সমমান অথবা অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদের কপি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
৫. ইউটিলিটি বিলের কপি (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি বা চৌকিদারি ট্যাক্স রশিদের ফটোকপি)।
ভোটার হওয়ার সময় যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে—
১. নিজের নাম, পিতা-মাতার নাম, জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদের সঙ্গে হুবহু মিলিয়ে লিখতে হবে।
২. জন্ম তারিখ অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন বা শিক্ষা সনদ অনুযায়ী হতে হবে।
৩. স্থায়ী ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই ভোটারের প্রকৃত স্থায়ী ঠিকানা লিখতে হবে।
৪. কোনো অবস্থাতেই দ্বৈত বা দুইবার ভোটার হওয়া যাবে না।
২০০৭-০৮ সালে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। এরপর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হয়েছে ছয়বার। ২০০৯-১০ সাল, ২০১২-১৩, ২০১৫-১৬, ২০১৭-১৮, ২০১৯-২০ ও ২০২২-২৩ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ কার্যক্রম পরিচালনা করে ইসি। বর্তমানে দেশে ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ ও নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৯৩২ জন।