ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর। যদিও এর আগে হামাসের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে চুক্তির শর্তে রদবদলের অভিযোগে চুক্তি অনুমোদনের ভোটাভুটির আয়োজন পিছিয়ে দেন তিনি।
গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে হওয়া চুক্তি চূড়ান্ত অনুমোদনে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। জানিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর।
বহু প্রতিক্ষিত এই চুক্তি অনুমোদন করতে ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার বৃহস্পতিবারই বসার কথা ছিল, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মন্ত্রীদের মধ্যে স্পষ্ট বিভেদ নিয়ে চলা নেতানিয়াহুর জোট সরকার বৈঠকটিতে বসতে দেরি করছিল। আর এই দেরির জন্য তারা হামাসকে দায় দেয়।
কিন্তু দিনের শুরুতেই মধ্যেই নেতানিয়াহুর দপ্তর জানায়, অনুমোদন আসন্ন।
প্রথম দফায় ৪২ দিন মেয়াদি এ চুক্তির অধীন গাজায় যুদ্ধ বন্ধের পাশাপাশি ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হাতে থাকা জিম্মিরা মুক্তি পেয়ে ইসরায়েলে ফিরবেন।
এর বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন ফিলিস্তিনি বন্দীরা। এ ছাড়া এ চুক্তির ফলে বাস্তুচ্যুত হওয়া লাখ লাখ ফিলিস্তিনি তাঁদের গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়িঘরে পাবেন ফেরার সুযোগ।
আগামী রোববার থেকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে বলে মধ্যস্থতাকারীদের অন্যতম কাতার জানিয়েছে।
এদিকে চুক্তিটি চূড়ান্ত করার তোড়জোড় চলার মধ্যেই গতকাল বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এসব হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হয়েছেন।