সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানল। এর মধ্যে তীব্র ঝোড়ো বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। ফলে দাবানল আরও বিপজ্জনক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
অন্তত তিনটি জায়গায় ছড়িয়ে পড়া দাবানল এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। মার্কিন আবহাওয়া পরিষেবা তাদের পূর্বাভাসে জানায়, সোমবার থেকে শুষ্ক স্যান্টা অ্যানা ঝড়ো বাতাস ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৭০ মাইল বেগে বইতে শুরু করবে, যা বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
শুষ্ক ও ঝোড়ো এই বাতাসের হুমকির মুখে রেড ফ্ল্যাগ অ্যালার্ট জারি করেছে জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা। সাধারণত ‘বিশেষভাবে বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ জারি করা হয় এই সতর্কতা।
যেসব জায়গায় ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি বেশি সেসব জায়গায় দমকলকর্মীরা আগে থেকেই অবস্থান নিচ্ছে। এর মধ্যে পলিসেইডস এবং ইটন অন্যতম। এ দুই জায়গায় ৮ হাজার ৫০০ জনের বেশি দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। আকাশ এবং স্থলপথে আরও বেশি দমকলকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।
দমকল বিভাগের প্রধান ক্রিস্টিন ক্রাউলি বলেন, ‘আমরা পরের দাবানল নিয়ন্ত্রণে এনে ছোট জায়গার মধ্যে সীমিত রাখতে পারব সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত না। পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘন্টায় ৭০ মাইল বেগে বাতাস বইবে। সেই বাতাসে বেড়ে যাওয়া দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন।’
নতুন করে ঝোড়ো বাতাস ফিরে আসলে দমকলকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে যেসব আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে তা আবার ছড়ানোর আশঙ্কা আছে। পলিসেইডসের আগুন ১৪ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সবচেয়ে বড় দাবানলের শিকার পালিসেইডসে প্রায় ২৩ হাজার একর এলাকা পুড়ে গেছে। অন্যদিকে ইটনে দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানলে ১৪ হাজারের বেশি একর এলাকা পুড়ে গেছে। তবে সেখানকার ৩৩ শতাংশ দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। ৯২ হাজারের বেশি মানুষকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আরও ৮৯ হাজার মানুষকে সরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের এই দাবানলে সম্পদের ক্ষতির পাশাপাশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।