মোশারফ হোসেন: রাজনীতিবিদদের উপর গুরুদায়িত্ব অর্পিত হয়েছে উল্লেখ করে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন: আগের মতো পাগলামি, বোকামি করলে আগামীর প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে, দেশপ্রেমের পরিচয় দিতে হবে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আরদিয়া সানাইয়া এলাকায় কুয়েতে বাংলাদেশ কুরআন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে কুয়েত ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে চারদিনের সফরে বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে কুয়েত এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়েত বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
শফিকুর রহমান বলেন: আমরা সবাইকে বলি, জামায়াতে ইসলামী ব্যক্তি কিংবা দলের স্বার্থ নয়, সমাজ এবং দেশের স্বার্থটাকেই বড় করে দেখছে।
তিনি বলেন: ইনশাআল্লাহ যদি আমাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন আমারা মালিক নয়, আমরা হবো জাতির খাদেম, জাতির নয় প্রত্যেকটা ব্যক্তির খাদেম। কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে কোন দল করে আমরা এসব দেখব না। আমরা দেখব সে বাংলাদেশি কি না? অনেকেই বলে বিশ্বের অন্য দেশ এটা পছন্দ করবে কিনা? বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে অনুরোধ করব তারা তাদের দেশকে পছন্দ করুক। তারা যেন আমাদেরকে আমাদের দেশ পছন্দ করার সুযোগ দেয়। তবে হ্যাঁ, আমরা সবার ভালবাসা বন্ধুত্ব চাই, যারা বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিবে আমরা তাদের বুকে জড়িয়ে নিব। জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে যারা সহযোগিতা করবে তাদের শ্রদ্ধা আর কৃতজ্ঞতা জানাব।
৫৩ বছর যারাই দেশ পরিচালনা করেছে তারা জাতিকে সম্মান করতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন: তারা যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে সেবকের পরিবর্তে অনেকেই মালিক হয়ে বসে ছিল।
এছাড়াও প্রবাসীদের অভিযোগ ও অভিমত শুনে জামায়াতের আমির বলেন: আমি যেই দেশেই যাচ্ছি সেই দেশে কষ্টের হাহাকার শুনতে পারছি, আমরা সময় মত পাসপোর্ট পাই না। সময়মত পেতে হলে বাড়তি খরচ করতে হয়। এই যেন করুণার পাত্র। আবার কেউ মারা গেলে লাশটা সহজে দেশে নেওয়া যায় না। অনেক কান্নাকাটি করতে হয়, এদিক ওদিক দৌড়াতে হয়। দেশে যাব বিমান টিকেট ভাড়া দ্বিগুণ আড়াই গুণ করে পেলা হয়, যেটা জুলুম। অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানিতে কাজ করেন ন্যায্য পাওনা পায় না, বঞ্চিত হচ্ছে। আমার সরকার আমার দূতাবাস আমার পাশে দাঁড়ায় না। তাহলে দূতাবাস এখানে কেন? দূতাবাস হচ্ছে সরকারের প্রতিনিধি, দূতাবাস হচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। দূতাবাস যদি প্রবাসীদের বিভিন্ন দুঃখ কষ্ট সমস্যা না দেখে তাহলে এখানে দরকার নাই।
তিনি বলেন: প্রবাসীরা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হলে, বাধাগ্রস্ত হলে দূতাবাস এই দেশের সরকারকে বুঝিয়ে সেটা আদায় করবে। আমরা বিভিন্ন জাগায় উপলব্ধি করি দূতাবাসের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করছে না। এসময় প্রত্যেক প্রবাসীকে স্থানীয় কানুন মেনে চলতে অনুরোধ করেন তিনি।