কোন কোন দলের বক্তব্য সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার মত: আবু হানিফ

গণঅধিকার পরিষদের বংশাল থানার নবগঠিত কমিটির ঘোষণা উপলক্ষে এক আনন্দ মিছিলের আয়োজন করে নবগঠিত কমিটি। আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকাল ৪ টায় বংশাল থানায় এই আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘‘২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন না হলে ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান হতো না। সেই ১৮ সালের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলো তরুণরা। একইভাবে ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে তরুণরা।

আমরা দেখেছি বাংলাদেশে তরুণদের বড় একটা অংশ রাজনৈতিক বিমুখ। তরুণ শিক্ষিত মানুষদের রাজনীতিতে আসতে হবে। তরুণরাই পারে দেশের রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন করতে। এই তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে দেশের নব্য দখলদারদের ঘুম হারাম হয়ে যাবে। ২৪ সালে ছাত্রজনতা শুধু ভোটের জন্য জীবন দেয়নি। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার বিলোপের জন্য জীবন দিয়েছে।

তিনি বলেন, এই অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের যত সময় লাগে সংস্কারের জন্য আমরা সেই সময় দিতে প্রস্তুত কিন্তু সংস্কারের নামে কালক্ষেপণ জনগণ মেনে নিবে না। যদিও কোন কোন রাজনৈতিক দলের বক্তব্য সংস্কারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার মতো। তাদেরকে বলব আপনারা জনগণের পালস বুঝার চেষ্টা করুন, জনগণ কী চায়।

তিনি বলেন, সম্প্রতি সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা তাদের মেরুদণ্ড সোজা করে ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারতকে বুঝতে হবে তাদের নিয়ন্ত্রিত আওয়ামী লীগ এখন ক্ষমতায় নেই। সুতরাং বাংলাদেশে আপনাদের দাদাগিরি আর চলবে না।

২৪ সালের ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্ররা জীবন দিয়েছে। এখনও অনেকেই আহতরা সঠিক চিকিৎসা পায়নি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ও নিহতদের পরিবারের বিষয়ে সার্বিক দায়িত্ব জুলাই ফাউন্ডেশনের।কিন্তু জুলাই ফাউন্ডেশন সেই দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করছে না। বরং সেখানকার দায়িত্বশীলরা রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে ব্যস্ত। আমরা গতকাল দেখলাম উত্তরা পূর্ব থানার সাবেক ওসি যিনি হত্যা মামলার আসামি। অথচ তিনি নাকি পালিয়েছেন। আমরা স্পষ্ট বলেছি তিনি পালননি, তাকে পালাতে সহযোগিতা করেছে সেখানকার পুলিশ সদস্যরা। হত্যা মামলার আসামি সাবেক ওসি পালানোর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ করা উচিত। গতকাল নেত্রকোনায় দেখলাম এক এসআই কে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে অরাজকতা চলছে-এই স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এডভোকেট নাজিম উদ্দীন বলেন, ‘‘বাংলাদেশের অর্ধেক নারী ও অর্ধেক নারী ভোটার। সুতরাং গণ অধিকার পরিষদ ও ভিপি নুর নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীকে মর্যাদার আসনে দেখতে চাই বিধায় বংশাল থানা কমিটির আহ্বায়ক/সভাপতি অ্যাডভোকেট সীমাকে দিয়ে কমিটি উপহার দিয়েছে। আগামীতে নারী ও পুরুষ একসাথে কাজ করার মধ্যে দিয়ে গণ অধিকার পরিষদ ও ভিপি নুরকে ক্ষমতায়ন করে এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিনত করবে ইনশাআল্লাহ।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের বংশাল থানার আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট লতিফুন্নেসা সীমা সদস্যসচিব মো. জাহিদ হাসান,কদমতলী থানার সভাপতি বশির আহমেদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা ফারুক, চান মিয়া প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন