নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যে সাধারণ মানুষ যখন চিড়েচ্যাপ্টা তখন-অন্তবর্তী সরকার নতুন করে চাপে ফেলছে সাধারণ মানুষকে। আয় বাড়াতে যেন ওত পেতে থাকা এনবিআর, মানুষের পকেট থেকে সহজে টাকা আদায় করার পথ বের করলো।
অন্ন, বস্ত্র, চিকিৎসা সব খাতেই নতুন করে মানুষের ব্যয় বাড়বে। এই যেমন, যারা মিষ্টি পছন্দ করেন, তাদের এখন থেকে কিছুটা কম খেতে হবে। কিংবা উৎসব পার্বনেও হিসাব করে কিনতে হবে মিষ্ট। কারণ, মূসক এক লাফে দ্বিগুন করা হয়েছে মিষ্টির দোকানের।
পোশাক কিনতে যাবেন, তাতেও স্বস্তি নেই, চোখ পড়েছে এনবিআরের। এতো দিন, পোশাকে ভ্যাট ছিলো সাড়ে ৭ শতাংশ। নতুন অর্থবছরের আরও ৬ মাস বাকি থাকলেও, ১৫ শতাংশ করা হয়েছে জানুয়ারি থেকেই।
সাপ্তাহিক কিংবা সরকারি ছুটিতে, পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ একটু বাইরে যাব, হয়তো দুপুর কিংবা রাতের খাবারটাও সবাইকে নিয়ে এক সঙ্গে সারতে চান রেস্টুরেন্টে। তবে, এখন রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার আগে মাথায় রাখতে হবে, যা খাবেন তার সঙ্গে ১৫ শতাংশ কর দিতে হবে সরকারকে।
লম্বা ছুটিতে পরিবার নিয়ে অনেকে ছুটে যান দর্শনীয় স্থান এলাকায়। খরচের রাশ টানতে থাকেন হয়তো নন এসি হোটেলে। তবে, তাতেও এবার রক্ষা নেই, আগের আরোপিত সাড়ে ৭ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে বাড়লো।
যাতের সামর্থ্য আছে, তারা ছুটিতে দেশে কিংবা বিদেশে পরিবার নিয়ে বেরাতে যান বিমানে। তবে বিমানপথেও ব্যয় বাড়বে। গন্তব্য ভিন্নতায় হাজার টাকা বেড়েছে বিমান টিকিটের ভ্যাট। এতে এনবিআরের আয় বাড়লেও, খরচ বাড়বে যাত্রীর।
সংসার সামলাতে গিয়ে মুদি দোকানের ব্যয় অনেক আগেই থেকে বেশি। এবার টিস্যু, কয়েল, আচার যাই কিনতে যান, খুচরা পর্যায়েও দাম বাড়বে, কারণ উৎপাদন পর্যায়ে যোগ হয়েছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। ফলে আচার খাওয়া কমাতে হবে, টিস্যুও ইচ্ছে মতো ব্যবহার করা যাবে না।
সম্পূরক শুল্প বাড়ায়, বাড়বে আরও কিছু পণ্যের দাম। তালিকায় আমদানি করা মদ, সুপারি যেমন আছে, আবার বিদেশ থেকে ফলের রস আনতেও আরোপিত ২০ শতাংশ কর, বাড়িয়ে করা হয়েছে ৩০ শতাংশ।
এই যে এতো জিনিসে দাম বাড়ছে, বাড়তি কর আরোপ করার কারণে, তা মুঠোফোনে কারো সঙ্গে আলাপ করার পথও রুখতে চায় এনবিআর। কারণ, মোবাইল ফোনে কথা বলায় আরোপ হতে যাচ্ছে সম্পূরক শুল্প। ফলে অন্তবর্তী সরকারের এই চাপ আপনাকে সহ্য করতে হবে, তবে পান খাওয়া যাবে না। কারণ আমদানি করা সুপারির দাম বাড়ছে।