ব্যাংক খাতে লুটপাট বন্ধ হলেও ক্ষত কাটেনি

ব্যাংক খাতে লুটপাট বন্ধ হয়েছে নতুন সরকারের শাসন আমলে। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, পতিত সরকার ক্ষত তৈরি করেছে, তা কাটতে সময় লাগবে। কারণ, লোপাটের টাকা উদ্ধার জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। ব্যবসায়িরা বলছেন ফরেনসিক নীরিক্ষায় জানতে হবে এই খাতের ক্ষত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, দেশের ব্যাংকিং খাতে কু ঋণ এখন প্রায় ২ লাখ ৮৫ হাজার কোটি টাকা। সরকারের আরেকটি নথি বলছে, দুর্দশাগ্রস্থ ঋণের পরিমাণ পৌনে সাত লাখ কোটি টাকা।

পরিমাণ যাই, হোক, বিগত সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাতে যে লুটপাট হয়েছে, তা খোদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বলা হচ্ছে। অন্তবর্তী সরকারের এই ৫ মাসে, চিত্র কি আদো পাল্টেছে? বিশ্লেষকদের পর্যবেক্ষেণ, ঠেকানো গেছে লুটপাট।

ব্যাংকিং খাতে আওয়ামী লীগের শাসন আমলে তৈরি হয় অলিগার্ক। আর দিনে দুপুরে ব্যাংক দখল ছিলো প্রকাশ্য বিষয়। টাকা ছাপিয়ে দেয়ার পরও তা লোপাট হয়। তবে, ১১ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনে, দুষ্ট চক্রের দৌড়াত্ব কমেছে।

ব্যাংকিং খাতে তারল্য পরিস্থিতিও বদলাতে শুরু করেছে, গ্রাহকরা চাহিদা মোতাবেক টাকাও তুলতে পারছেন অনেকটা। তবে, সংস্কার কাযক্রমের গতি ধীর হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ, আর নানা কারণে গতি নেই ব্যাংকের স্বাস্থ্য পরীক্ষার উদ্যোগ।

একটি উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স ব্যাংকিং খাত সংস্কারে কাজ করছে। তবে, অনেকে বলছে, পরিস্কার পথনকশা না থাকায় দূর্বলতা দেখা যাচ্ছে উদ্যোগে। আর অনেকে সুশাসনের উদ্যোগের বিপক্ষে ঘাপটি মেরে চেষ্টা করছেন আচর কাটার।

নিউজটি শেয়ার করুন