শুরু হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবার পাঠ্যবইয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। অনেক বিষয়বস্তু সংযোজন-বিয়োজন হয়েছে। তবে এবার সবার হাতে নতুন বই দিতে পারেনি সরকার।
বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় ২০০৯ সালে। পরের বছর প্রথমবার বই উৎসব করে সরকার। এরপর টানা ১৫ বছর শিক্ষার্থীদের হাতে বছরের প্রথমদিন পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়েছে।
তবে দেড় দশকের সেই রীতিতে এবার ভাটা পড়েছে। অপ্রয়োজনীয় খরচ এড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার বাতিল করেছে রিতি। এছাড়া রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও বই ছাপার কাজে দেরি হওয়ায়, সব বই ছাপাও শেষ হয়নি। তাই নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে সব নয়, কোনো কোনো বিষয়ের পাঠ্যপুস্তুক তুলে দিতে পেরেছেন শিক্ষকরা।
রাজশাহীর স্কুলগুলোতে শূন্য হাতে ফিরেছে অধিকাংশ শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পেয়েছে তিনটি বই। এছাড়াও মাদ্রাসার বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের সপ্তম শ্রেণীর বই দেওয়া হয়েছে।
রংপুরে সীমিত পরিসরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়েছে নতুন বই। অধিকাংশ শিক্ষার্থীই ফিরেছে খালি হাতে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে সকল শিক্ষার্থী বই পেয়েছে। সিলেটেও একই পরিস্থিতি। প্রাথমিকের বই দেওয়া হলেও, অনিশ্চিত মাধ্যমিকের বই প্রাপ্তি।
গাজীপুরেও বিনামূল্যের পাঠ্যবই সব শিক্ষার্থীর হাতে পড়েনি। প্রতি বছরের রেওয়াজ অনুযায়ী নেই পাঠ্যবই উৎসব। ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হলেও, সব বই পায়নি সবাই। তবে এ মাসের মধ্যেই সব বই হাতে পৌছাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
একই পরিস্থিতি নেত্রকোনা, পটুয়াখালী, বান্দরবান, জয়পুরহাট, ভোলার। প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখের মতো। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র পেয়েছে মাত্র ৩ কোটি ৯৪ লাখ বইয়।