নতুন বছরে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরানোসহ একগুচ্ছ চ্যালেঞ্জ সরকারের ঘাড়ে। কয়েক বছর ধরে চলা অপ্রতুল কর্মসংস্থান, সীমিত বিনিয়োগ চাঙ্গা করতে হবে অন্তবর্তী সরকারকে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে গভীর হতে পারে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ।
দেশের অর্থনীতির বড় চাবিকাঠি পোশাক খাত। কর্মসংস্থান, রপ্তানি আয় ও নারীর ক্ষমতায়নে পোশাক খাতের অবদান শীর্ষে। তবে, শ্রমিক অসন্তোষ থেকে এ খাতে চলছে অস্থিরতা, যা চাপে ফেলেছে মালিকদের।
কেবল পোশাক খাত নয়, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা, দুশ্চিন্তায় ফেলেছে ব্যক্তিখাতকে। গত কয়েক বছর যখন বেসরকারি বিনিয়োগে খড়া চলছে, নতুন ২০২৫ সালে সরকারকে বাড়তি মনোযোগ দিতে হবে ব্যবসায়ীদের আস্থা ফেরাতে।
কর্মসংস্থানের প্রতুলতা বাংলাদেশের বড় সমস্যা। দেশি বিদেশি বিনিয়োগ না বাড়লে কাজের নতুন সুযোগ আসবে না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপ সহ্য করতে হবে মানুষকে নতুন বছরেও। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাতে মন্দ ঋণ বাড়াবে।
অন্তবর্তী সরকার বলছে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে হতে পারে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। নির্বাচন ঘিরে, অর্থনীতিতে বাড়তি কিছু ঝুকি আসবে ২০২৫ সালে। আর্থিক খাত, রাজস্ব কাঠামো ও পুজিবাজারে সংস্কোরের পাশাপাশি জ্বালানি পরিসেবায় ঠিক রাখাটি কঠিন হবে সরকারের জন্য।
২০২৫ সালে নিজেদের বাজেট তৈরির সুযোগ আসছে সরকারের হাতে। প্রান্তিক ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে, তাই মনোযোগের পরামরর্শ সংশ্লিষ্টদের।