আগামীকাল ৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশ নিয়ে নানা নাটকীয়তা শেষে অবশেষে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে। আগমীকাল বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের পক্ষে শহিদ মিনারে সমাবেশে একত্রিত হওয়ার ঘোষণা চূড়ান্তা হয়েছে।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মধ্যরাত ১২টা ৫০ মিনিটে কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই কর্মসূচির কথা জানান। এর আগে রাজধানীর বাংলামোটরে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আবদুল হান্নান মাসুদ বলেন, বিপ্লবের ঘোষণাপত্রের পক্ষে সারাদেশের মানুষ সমর্থন জানিয়ে আগামীকালএকত্রিত হওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।
এসময় উপস্থিত নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে মিছিল নিয়ে কার্যালয় ত্যাগ করে নেতা-কর্মীরা।
এর আগে রাত ৯টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
বার্তায় জানানো হয়, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।
সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছু দিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত রোববার রাজধানীর বাংলামোটরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ জানান, আগামী মঙ্গলবার ‘জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র’ দেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। ওই দিন ৭২-এর ‘মুজিববাদী সংবিধানকে’ কবর দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।