গণমানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে: তারেক রহমান

স্বৈরাচার পালিয়েছে, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বৈরাচারমুক্ত উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এখন সামনে আমাদের আরেকটি বড় যুদ্ধ। সামনে গণমানুষের অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) র‌্যাবের গুলিতে শহীদ গোলাম রব্বানীর পরিবারকে নতুন বাড়ি উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, দেশের বিভিন্নজনের বিভিন্ন মত থাকবে, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ কিংবা অন্যসকল জ্ঞানী ব্যক্তিদের মতামত থাকবে এই সকল মতামত নিয়ে আমরা আলোচনা করবো। তবে এসকল মতামতের মধ্যে যে পক্ষে জনসমর্থন বেশি, সেই মতামতের ভিত্তিতেই দেশ গড়ে তোলা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে সকলের ভিন্ন ভিন্ন মত থাকতে পারে, তবে এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করা যাবে না, যার মাধ্যমে দেশ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এমন কোনো পরিস্থিতি বা মতামত গ্রহণযোগ্য হবে না, যার ফলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হবে। দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে বাধাগ্রস্থ হবে।

তারেক রহমান বলেন, গোলাম রব্বানী একা নয়, গত ১৬ বছরে এই স্বৈরাচার হাজার হাজার রাব্বানীকে হত্যা করেছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে নির্যাতন করেছে। সর্বশেষ পালিয়ে যাওয়ার আগেও হাজার হাজার মানুষকে নির্যাতন করেছে, শত শত মানুষকে শহীদ করেছে।

তিনি বলেন, এই মানুষগুলোর অপরাধ কী? কেন এদের উপর এমন নির্যাতন করতে হয়েছে? এরা তো কেবল মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার, কথা বলার অধিকার এবং ভোটের অধিকার নিয়ে কথা বলেছে। এসব নৈতিক অধিকার নিয়ে কথা বলার অপরাধে এমন নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। এরকম হাজার হাজার রাব্বানীকে হত্যা করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, যেই অধিকারগুলোর জন্য রাজনৈতিক নেতারা সাধারণ মানুষদের সাথে নিয়ে বিগত ১৬ বছর যাবৎ সংগ্রাম করেছিল, আন্দোলন করেছিল, রাব্বানীর মতো হাজার হাজার কর্মী নিহত হয়েছেন তাদের সেই অধিকারগুলো এখন আমাদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে, আর এটাই হচ্ছে আমাদের বড় যুদ্ধ।

তিনি বলেন, রাব্বানীদের লক্ষ্যই ছিল রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা, মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। কারণ বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ যেমন, কৃষক, দিনমজুর, শিক্ষক, কিংবা অন্যসকল পেশাজীবী মানুষের সমস্যাগুলো সমাধান করতে হলে তাদের কথা শুনতে হবে। সকল মানুষের স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতে হলে, খাদ্য সমস্যাসহ আমাদের সমাজে নানা রকম সমস্যা রয়েছে। আর এসব সমস্যা রাজনৈতিক নেতাদের কণ্ঠে আসতে হবে। তবেই তো সমাধান হবে।