পদ্মা একীভূত থেকে সরে এলো এক্সিম ব্যাংক

পদ্মা ব্যাংক একীভূত করা থেকে সরে গেলে এক্সিম ব্যাংক। এক্সিম ব্যাংকের বোর্ড-দুর্দশাগ্রস্থ ব্যাংকটি মার্জার না করার সিদ্ধান্ত নেয়। অবশ্য, এক্সিম ব্যাংকের পুনর্গঠিত বোর্ড বলছেন, সংকট কাটিয়ে ঘুড়ে দাড়াতে শুরু করেছে এক্সিম ব্যাংক। আর তাদের মনোযোগ, খেলাপি ঋণ আদায়ে।     

২০১৩ সালে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক হিসাবে, কাযক্রম শুরু করে সাবেক ফারমার্স ব্যাংক। আর্থিক কেলেংকারিতে পড়ে, কাযক্রম শুরুর কয়েক বছরের মাথায় তীব্র সংকটে পড়ে ব্যাংকটি। এরপর পর্ষদে পরিবর্তন আনা হয়।

নাম বদল করে করা হয়, পদ্মা ব্যাংক, সরকারের ইচ্ছায় জোগান দেয়া হয় তারল্য। তবে পরিস্থিতি বদলায়নি। চলতি বছরে, ব্যাংকটি এক্সিম ব্যাংকের সঙ্গে মার্জারে-এমওইউ সই হয়। তবে, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বেস্তে যায় সে উদ্যোগও।

এক্সিম ব্যাংকেও গঠিত হয় নতুন পর্ষদ, যারা সিদ্ধান্ত হিলো, পদ্মা ব্যাংক মার্জার না করার। অবশ্য, নতুন চেয়ারম্যান প্রশ্ন তুলছেন, পদ্মা-এক্সিম মার্জারের পুরো প্রক্রিয়া নিয়েই।

অবশ্য, অনাস্থা থেকে আমানতকারীদের হিড়িক পদে ব্যাংক খাতে, যার চাপ পড়ে এক্সিম ব্যাংকেও। তবে পর্ষদ বলছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পেরেছে তারা। তারল্য সংকট কাটিয়ে, ব্যাংকটি এখন ফিরতে শুরু করেছে আগের মতো লেনদেনে। আর তাদের মনোযোগ মন্দ ঋণ আদায়ে।

পদ্মা ব্যাংক দুর্দশায় পড়ে, গ্রাহকের আমানত যেমন ফেরত দিতে পারছে না, অন্য দিকে, ঋণের ৬০ শতাংশের বেশি খেলাপি হয়ে পড়েছে। ফলে ব্যাংকিং খাতে গলার কাটা এখন, ব্যাংক দুর্নীতির নজির পদ্মা।