নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে আজ বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে, খৃষ্ট ধর্মের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস। মধ্যরাত থেকে উৎসব শুরু হয়। ক্রিসমাস ইভে গির্জায় গির্জায় হয় বিশেষ প্রার্থনা। রীতি অনুযায়ী দিনের প্রথম প্রহরে বড়দিনের মূল আয়োজনের সূচনা হয়েছে যিশু খৃষ্টের জন্মস্থান বেথেলহেমে।
পৃথিবীর সকল অশান্তি দূর করে শান্তি-সমৃদ্ধি কামনায়, বিশ্বজুড়ে যিশুর আগমনী দিন উদযাপন করছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়। বড়দিন বুধবার হলেও উৎসব শুরু হয়েছে আগের রাত থেকেই। রীতি অনুযায়ী-দিনের প্রথম প্রহরে বড়দিনের মূল আয়োজনের সূচনা হয় যীশুর জন্মস্থান বেথলেহেমে। নেটিভিটি চার্চে লাতিন ধর্মগুরু পিয়েরবাতিস্তা পিজ্জাবেলার নেতৃত্বে হয় ক্রিসমাস ইভের বিশেষ প্রার্থনা।
ভ্যাটিক্যানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে, পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে ধর্মীয় আয়োজনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ। ৫ বছর পর, ক্রিসমাস প্রার্থনার আয়োজন হয়েছে প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রালে। রঙিন স্টার, ক্রিসমাস ট্রি আর মরিচ বাতিতে সেজেছে চারদিক।
হাজার হাজার বছর ধরে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উপলক্ষে পালিত হয়ে আসছে এই উৎসব। নিজস্ব ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে, খ্রিস্ট ধর্মের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের রঙে মেতেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালিসহ কলকাতার মতো ঐতিহ্যবাহী শহর।
সিয়াটলে ১ লাখ ২০ হাজার গ্যালন পানি ভর্তি অ্যাকুয়ারিয়ামে মাছের সঙ্গে ভেসে বেড়াচ্ছে লাল-সাদা রঙের সান্তা ক্লস। দর্শনার্থীদের আনন্দ দেয়ার পাশাপাশি পরিবেশের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন করতে ১৫ বছর ধরে চলছে এই আয়োজন।
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রিসমাসের বর্ণিল আয়োজন দেখা গেলেও, ভালো নেই যিশু খ্রিস্টের জন্মভূমি বেথেলহেমই। ক্ষুধা, বঞ্চনা আর যুদ্ধের আতঙ্কে উৎসবের রং ফিকে হয়ে গেছে। তাই যুদ্ধ বন্ধ হয়ে শান্তিতে ভরে উঠবে গোটা বিশ্ব, এমন আশায় বুক বেঁধেছেন শান্তিকামী মানুষ।