রাত পেরোলেই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপিত হবে। দিনটি উদযাপনে উপসনালয়সহ বাড়ি বাড়ি আলোকসজ্জা, গোশালা তৈরি, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোসহ চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ডিএমপি।
গির্জা থেকে খ্রিস্টান পল্লী, সবখানে এখন বড়দিন পালনের প্রস্তুতি। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি, গো-শালা। এমনি নানা আয়োজনে বড় দিন উদযাপনের শেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে, খ্রিস্টান সম্প্রদায়।
বেথলেহেমের গরিব কাঠুরের গোয়ালঘরে যিশুখ্রিষ্টের জন্মের কথা স্মরণ করে ধর্মীয় আবহ সৃষ্টি করতেই গোশালা বসান খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। ঐতিহ্যবাহী ও জাঁকজমকপূর্ণ এ সাজসজ্জায় রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোর বিন্দু দিয়ে সাজানো হচ্ছে চার্জগুলো। বিশেষ প্রার্থনা আয়োজনের প্রস্তুতিও শেষ পর্যায়ে। বেশিরভাগ গির্জা ও গির্জার বাইরে আলোকসজ্জা, আনন্দ-উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকবে বড়দিনের উৎসবে।
ধর্মজাজকরা বলছেন, বড়দিন শুধু উৎসবের দিন নয় এটি আত্মশুদ্ধির দিন। এই দিনে সকল প্রকার পাপ-কালীমা থেকে নিজেদের মুক্ত করে আত্মাকে পরিশুদ্ধ করতে প্রার্থনা করা হয়।
বড়দিন উপলক্ষে প্রয়োজনীয় সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম-সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ করিম।
জানান, নগরীর প্রতিটি চার্চে সাদা পোশাকে ও ইউনিফর্মে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দায়িত্ব পালন করবে সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল টিমসহ বিশেষায়িত ইউনিট।